Chào các bạn! Vì nhiều lý do từ nay Truyen2U chính thức đổi tên là Truyen247.Pro. Mong các bạn tiếp tục ủng hộ truy cập tên miền mới này nhé! Mãi yêu... ♥

১৭

দিদি সুমনের কি শরীর খারাপ করেছে?

শরীর খারাপ, নাতো। কেন বলতো?

না মানে পড়া বুঝে নিতে আসছেনা একদমই। ওদের বাড়ির মেহমানগুলো কি একেবারের জন্যই থেকে যাবে নাকি? এসেছে তো এসেছে আর যাওয়ার নামই করছেনা।

আদিত্যর কথা শুনে মনোরমা মিটিমিটি হাসলেন। তার বেশ কদিন ধরেই মনে হচ্ছে যে আদিত্য, সুমনকে পছন্দ করে এবং সেটা নিতান্তই পছন্দের তালিকায় আর নেই বরং অসম্ভব ভালো লাগায় পরিনত হয়েছে।
বকিরা যখন পড়তে বসে, আদিত্য কেবলই উসখুস করতে থাকে আর দরজার দিকে তাকায়। কিসের প্রত্যাশায় যে সে বারে বারে দরজা দেখে সেটা এখন মনোরমার কাছে দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

ওদের বাড়ির মেহমান অনেক আগেই চলে গেছে আদি, সুমন এমনি আর আসছে না।

তাই নাকি? আদিত্য প্রচন্ড অবাক হলো। তাহলে পড়তে আসছে না কেন?

শ্রাবনদা তো সুমনকে আবার পড়াচ্ছে আদিত্যমামা।

মানে... আদিত্য অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো। আবার পড়াচ্ছে মানে? শ্রাবণ কেন সুমনকে পড়াবে, সো তো উকিল না কি যেন একটা।

সুমনকে এতোদিন ওই শ্রাবনই পড়াতো, মাঝখানে কোন সমস্যা হয়েছিলো মনে হয়, তাই বাদ দিয়েছিলো। এখন শুনলাম শ্রাবন নাকি আবার সুমনকে পড়তে যেতে বলেছে ওর কাছে।

"ওহ.. তাহলে তো ভালই।"

মনোরমা খেয়াল করলেন আদিত্যর চোখে মুখে কেমন একটা হতাশা দোল খেয়ে গেল। সুমনকে মনোরমা যে ভালোবাসেন না তা নয়, তবে নিজের এতো উপযুক্ত ভাইয়ের জন্য একদম অনাথ চালচুলোহীন একটা মেয়েকে কারই বা পছন্দ হয়। সাথে সুমনের মামার অবস্থাও তেমন সুবিধার নয়। রামনাথ চৌধুরীর কাছে পুরো বাড়িটাই বন্ধক রাখা... অনুজটাও কবে আমেরিকা থেকে টাকা পাঠাবে আর এরা বাড়িটা ছাড়াবে কে জানে? আসলে ওই রামনাথ চৌধুরীর মতলবটা যে মোটেও সুবিধার নয়, সেটা মনোরমা বেশ আন্দাজ করতে পারে। বুড়ো মনে মনে এই বাড়িটা দখল করতে চায়, দুই ছেলের জন্য দুই বাড়ি। সেক্ষেত্রে আদিত্য, সুমনকে বিয়ে করলে তো এক কানাকড়িও পাবেনা। এরকম হলে তো মনোরমা কারও কাছে মুখই দেখাতে পারবে না, আত্মীয়- স্বজন সব ছি ছি করবে।

সুমনের তো তাহলে এবাড়ি আসার আর কোন প্রয়োজনই নেই।

ইশশ বললেই হলো... ও হচ্ছে আমার প্রানের সই। আমার সাথে দেখা না করে ও থাকতে পারবে বুঝি? আজ দুপুরেই আসবে ক্যারাম খেলতে।

সেকি তোরা ক্যারামও খেলতে পারিস ? আমি তো মনে করলাম তোরা শুধু সাপ লুডু বিশেষজ্ঞ," আদিত্যর মুডটা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে এলো।

ভাল হবে না কিন্তু আদিত্যমামা

আচ্ছা আচ্ছা এই আমি থামছি। আচ্ছা এক কাজ কর... অপরাধ যখন আমি করেই ফেলেছি তখন ভুল শুধরানোর একটা ব্যবস্থা করা যাক।কাল বিকেলে তোর বান্ধবীদের নিয়ে চল নদীর পারে ঘুরে আসি। নৌকা ভ্রমন, ফুচকা, মুড়িমাখা সব হবে। আর মনোদিদি তুমিও যাবে কাল আমাদের সাথে, কোন অজুহাত খাটবে না... এই বলে দিলাম।

সত্যি আদিত্য মামা ....

হ্যা রে

কি মজা... আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।

আচ্ছা... যতো খুশি আনন্দ কর, তবে সুমন আসলে ওকেও বলিস আমাদের সাথে যেতে।

"চিন্তা করোনাতো... নদীতে ঘুরতে যাবার কথা শুনলে সুমো সবার আগে দৌড়াবে। "

আদিত্য, চারুর কথা শুনে যারপরনাই খুশি হলো।

......................

"নির্ঘাত সুমোবেবি কি করছে তাই ভাবছিস," মৌমিতা, শ্রাবণের পাশে বসতে বসতে জিজ্ঞেস করলো।

পার্টি হলটায় তখনও পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে ছোটখাট একটা জটলা চলছে, কারো কারো সাথে পরিবারের লোকও এসেছে। মৌমিতাও অমিয়র সাথে এসেছে অনেকক্ষণ .... ওদের একসাথে দেখেই শ্রাবণ ইচ্ছে করে একপাশে সরে এসেছে, জানে মৌমিতা ওকে দেখলেই সুমোর কথা জিজ্ঞেস করতে আসবে।

"আসছে আমার সবজান্তা ম্যাডাম," শ্রাবণ মুচকি হাসলো।

'হাসিস না, যতো দ্রুত পারিস তোর পরানের খবরটা মেয়েটাকে জানা।"

"আচ্ছা মৌমি আমার তোকে একটা প্রশ্ন করার আছে।"

"কী.... ঝটপট বল"

"তোর কি দেখে মনে হলো যে আমি সুমোকে ভালোবাসি আই মিন তোর মতে অন্যরকম ভালেবাসা?"

"তুই কি বলতে চাইছিস, তুই বাসিস না? "

"উত্তরটা পরে দিচ্ছি তুই আগে বল তোর এরকমটা মনে হলো কেন? "

"শ্রাবণ তুই একটা গাধা... না না তুই হলি একটা অন্ধ গাধা... কানা ধোপার গাধা। "

"আরে তুই চেৎতেছিস কেন, আমি তো না বলি নাই। আমি শুধু জানতে চাচ্ছি... উফফ, তুই ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করতেছিস না দোস্ত।"

"হুমমম... তার মানে তুই স্বীকার করতেছিস।"

"মৌমি আমার এখনো আসলে কনফিউশান হচ্ছে সুমো আর আমি... "

"তোকে এবার আমি মেরে ফেলবো শয়তান... তোর কি সব মেয়েকেই একটু করে মনে ধরে? "

"আরে ধূর তুই আমার কথা বুঝতেছিস না, আমার কথাটা আগে শোন ভালো করে। আমি স্বীকার করছি আমি সুমোকে ভালোবাসি.. খুব ভালোবাসি আর এটা আমার জন্য খুব স্বাভাবিক, তুইতো জানিস খুব ছোটবেলা থেকেই ও আমার কাছে থেকে বড় হয়েছে। কিন্তু তুই বলার পর থেকে ওকে দেখলে আমার ভিতরে আলাদা একটা পাগলামী মাথা চাড়া দিচ্ছে... কিন্তু এতে আমার ভীষন খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে আমি সুমোকে ঠকাচ্ছি।"

"কেন? " মৌমিতা অবাক হয়ে জানতে চাইলো।

"সুমো আমাকে নিজের দাদার মতো দেখে," শ্রাবণ বিষন্ন সুরে বললো।

"সেতো তুই ও ওকে নিজের ছোট বোনের মতো দেখিস," মৌমি মুখ টিপে হাসলো। শ্রাবণের দুরবস্থা দেখে ওর ভীষন মজা লাগছে, বেচারা।
তবে মৌমি নিশ্চিত যে সুমনও, শ্রাবণকে একইভাবে ভালোবাসে... কারন সুমনের চোখে হঠাৎ হঠাৎ ঈর্ষার আগুন জ্বলতে দেখেছে মৌমি, তবে ভুল জায়গায়।

সুমন মনে করে মৌমিতা, শ্রাবণের প্রতি ইন্টারেস্টেড। লাবণ্যর ব্যাপারটা সুমন জানেনা। সুমনের অসুখের সময় মৌমি ব্যাপারটা ঠিক ঠিক আঁচ করতে পেরেছে। ও শ্রাবণের সাথে আড্ডা দিতে থাকলে সুমনের চেহারায় একটা আলাদা বিষন্নতা ফুটে উঠতো, মৌমিতার উপস্থিতি যে সুমনের পছন্দ নয় স্পষ্ট বোঝা যেত। তবে মেয়েটা নিজেকে ভাল সামলে নিতে জানে। আসলে ঈর্ষা জিনিসটা খারাপ হলেও সৃষ্টির এক অনবদ্য অংশ... অনুভূতিটা নিসন্দেহে ভালোবাসার লক্ষনগুলোর মধ্যে অন্যতম জায়গা দখল করে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।

"মৌমি তুই আবার আমাকে নিয়ে মজা করছিস।"

"বারে মজা করলাম কোথায়? দেখ যতোই তুই বলিস না কেন নিজের আপন বোন আর পাতানো বোনের সাথে সম্পর্ক কখনো এক নয়, তুই অযথা এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে ব্যাপারটা আরও কমপ্লিকেটেড করিস না। ভালোবাসিস এটা মেনে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়। মেয়েটা কিন্তু অনাথ আর অসহায়।.. তারমানে তোর ফ্যামিলির স্ট্যাটাসের সাথে কোনভাবেই যায় না। ওকে পেতে হলে তোকে ঘরে আর বাইরে অনেকের সাথেই যুদ্ধ করতে হবে, নিজেকে সেভাবে আগে তৈরী কর।"

মৌমিতা উঠে চলে যাওয়ার পরও কথাটা শ্রাবণের মাথায় অনেকটা সময় ধরে ঘুরতে থাকলো। মৌমির কথাটা খুব সত্যি, সুমোকে পেতে হলে সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো সুমোর অবস্থান। অনাথ, গরীব একটা মেয়েকে দু'টুকরো রুটি দেওয়া আর সারাজীবনের জন্য নিজের পরিবারে সামিল করা এক না।

কিন্তু শ্রাবণের কাছে সুমনের কোন বিকল্প নেই। এতোদিন শ্রাবনের মনে সুমনের দিক থেকে কোন নিরাপত্তাহীনতা ছিলনা। সুমনের মনের রাজ্যে শ্রাবণ একাই সিংহাসনের অধীরাজ, সেটা কেউ মানুক বা না মানুক। অবচেতনভাবেই সময়ের সাথে সাথে সুমনের উপর শ্রাবণের অধিকার উত্তরোত্তর কেবল বেড়েই চলেছে, অবিচ্ছেদ্য ভাবে ভালোবাসাটাও। কিন্তু সেই ভালোবাসাই আজ বাড়তে বাড়তে যে কোথায় এসে ঠেকেছে, সেই সীমানাটা না প্রেমিক যুগল অনুধাবন করতে পেরেছে আর না তাদের গুরুজনেরা।

............................

সুমন আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় মরে যেতে লাগলো। প্রীতি, মামীর কাছে চেয়ে একজোড়া বড় ঝুমকা এনে দিয়েছে ওকে বেড়াতে যাবে বলে। সেটা পরে একেতো সুমনের কানদুটো লাল হচ্ছে কিন্তু তার চাইতেও বেশি লাল হচ্ছে ওর গাল। শ্রাবনদার ঘরে যেয়ে কটা টাকা আনতে হবে, কিন্তু এখন ওই ঘরে এভাবে সেজেগুজে যেতে সুমনের বড্ড লজ্জা লাগছে। একেতো এতো ঝোলানো কানের দুল ও আগে কখনই পরেনি, সাথে আবার গাঢ় নীল শাড়ি আর ম্যাচিং করে চুড়ি, হালকা একটু লিপস্টিকও দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে জড়সর একটা কাঠের পুতুলের মতো হয়ে দাড়িয়ে রইলো সুমন, শ্রাবনের ঘরের দরজার কাছে গিয়ে।

শ্রাবণ কোর্ট থেকে ফেরা মাত্রই সোফায় গা টা একটু এলিয়ে দিয়েছিল, হঠাৎ অনেকগুলো চুড়ির ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুনতেই সোজা সামনে তাকালো," কি ব্যাপার ওখানে দাড়ানো কেন? "

সুমনের মনে হলো ওর পা দুটো সুপার গ্লু দিয়ে মেঝের সাথে আটকে গেছে।

"সুমো...."

"আসছি "

পায়ের পাতার দিকে তাকিয়ে কোন রকমে ঘরের একপাশ থেকে আরেকপাশে পৌছাল সুমন। ভিতরে ভিতরে ততক্ষনে টেনশনে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে ও।

শ্রাবণের মনে হলো ও শ্বাস নিতে ভুলে গেছে, চোখের পাতা জায়গায় আটকে গেছে। ওর সামনে দিয়ে যে হেটে বেড়াচ্ছে সেটা কি সত্যি সত্যি সুমো! নীল সমুদ্রও কি এতোটা প্রানবন্ত হয়ে কাছে ডাকে?

সুমন, শ্রাবণের দিকে না তাকিয়েও বেশ বুঝতে পারছিলো যে শ্রাবন একভাবে ওকে দেখছে। লজ্জায় আরক্ত হয়ে সুমনের পিঠটা সেই দৃষ্টির উত্তাপে ভীষন ভাবে পুড়ছিল কিন্তু টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় একটা কথা তো বলতে হবে। অনেকটা সাহস একসাথে করে তাই টাকার নোটটা সামনে ধরলো সুমন।

"পাঁচশ টাকা নিলাম "

"হমম," শ্রাবণের চোখদুটো তখনও সুমনের কপালের ছোট্ট টিপটার উপর আটকে আছে। কালো টিপটার চারপাশটা হঠাৎ কি ভীষন আদরের মনে হলো শ্রাবণের, কপালটা ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছাটা দুর্দমনীয় হয়ে উঠছে।

"সামনের সপ্তাহের কলেজের টিফিনের টাকাটা এখন নিলাম, তখন আর চাইবো না," সুমন অস্বস্তির সাথে বললো।

"হমম "

শ্রাবণ তখন সুমনের পা থেকে মাথা অব্দি সাজের চুলচেরা পর্যবেক্ষনে ব্যাস্ত।

"শ্রাবনদা তুমি তো ভাল করে আমার কোন কথা শুনছই না, কেবল আন্দাজে হমম হমম করছো।"
সুমন অধৈর্য হয়ে বললো।

সুমনের কথায় কাজ হলো, সাজগোজ দেখা থেকে বিরতি নিয়ে শ্রাবণ এবার সুমনের চোখ মুখ দেখতে লাগলো।

"শ্রাবনদা "

"হ্যা কি বলছিলি?"

"টাকাটা নিলাম'

"সে তো বললি একবার "

"সেটাই বলছিলাম।"

"হমম "

"আমি একটু বেড়াতে যাবো "

"তাই ভালতো "

"আসতে সন্ধ্যা হবে শ্রাবনদা "

"আচ্ছা যা। "

সুমন অনুমতি পাওয়া মাত্রই তাড়াতাড়ি আলমারিটা আটকে দিয়ে ঘর থেকে বের হতে যাচ্ছিল কিন্তু শ্রাবণের ডাকে আবার ফিরে আসতে বাধ্য হলো। সুমনের মনে কু ডাকলো।
ওর যাওয়া কি আটকে গেল? শ্রাবনদা অনুমতি না দিলে সুমন কিছুতেই চারুদের সাথে বেড়াতে যেতে পারবেনা, কেবল মামা - মামীর অনুমতিই ওর জন্য যথেষ্ট নয়,ও জানে।

শ্রাবণ যদিও বা আর একটু সময় দেখার জন্যই সুমনকে পিছু ডেকেছিলো কিন্তু সুমনের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি ওকে মনে করিয়ে দিল যে সুমনকে ওর কিছু একটা প্রশ্ন করা দরকার।

"তোরা কোথায় যাচ্ছিস রে সুমো?"

এইবার সুমনের হাত পা কাঁপতে লাগলো। আজ সকালের পড়াগুলো ওর ভালো করে পড়া হয়নি এখনও, তার উপর চারুদের সাথে ঘুরতে যাচ্ছে শুনলে শ্রাবনদা রেগে না যায়।

"কি রে বলছিস না কেন? কোনও বান্ধবীর জন্মদিন বুঝি? " শ্রাবণ গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াল। সামনের নীল পাখিটা ওকে বড্ড যন্ত্রনা দিচ্ছে।

"চারুদের সাথে নদীতে ঘুরতে যাবো শ্রাবনদা... আদিত্যবাবু আর মনোরমা মাসিও আমাদের সাথে যাচ্ছেন," মিনমিন করে বললো সুমন।

এইটুকুই যথেষ্ট ছিল..... শ্রাবণের ফুরাফুরা মেজাজটাকে নষ্ট করার জন্য।

আদিত্যবাবু আর মনোরমা মাসিও যাচ্ছেন.... সুমনের কথাটা শ্রাবণের কানে বিষফোঁড়ার মতো যন্ত্রনা দিতে লাগলো।

"বাহ... ভালো! তাইতো বলি সুমো ম্যাডাম যাচ্ছে কোথায় যে এতো সাজগোজ? শাড়ি, চুড়ি,কানের দুল সব একদম ম্যাচিং। "

সুমনের চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। ও একদমই পরতে চায়নি, কিন্তু মনোরমা মাসি জোর করেই এই শাড়িটা ওকে পরতে দিল। তবে চুড়িগুলো ওর নিজের।

"আ..মি, " সুমন শাড়ি পরার কারন ব্যাখা করতে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই শ্রাবণ ট্রাফিক পুলিশের মতো ওকে থামতে বাধ্য করলো।

" এখান থেকে যা সুমন.. আমি কাপড় পাল্টাবো," শ্রাবণ হটাত গম্ভীর হয়ে গেল।

"আজকেই শুধু যাই আর কোনদিন যাব না," সুমন করুন সুরে জানতে চাইলো।

"সেটা তোমার নিজের ব্যাপার, যথেষ্ট বড় হয়ে গিয়েছ বোঝাই যাচ্ছে... আমার মতামত দেয়া এখানে মূল্যহীন।"

শ্রাবণের কথায় সুমনের বেড়াতে যাওয়ার শখ সম্পূর্ণ উবে গেল। শ্রাবন যে ভীষন রকমের রাগ হয়েছে সুমনের সেটা বুঝতে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হচ্ছেনা। শ্রাবনদা ওকে শুধু তুমি না, সাথে সুমন বলেও ডাকছে.... শ্রাবনদা রাগ হয়ে গেলে এটা হলো ঝড়ের প্রথম ঝাপটা, সুনামি আসা এখনও বাকি।

চলবে......

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro