২৭শে চৈত্র, ১৪২৪
কথায় বলে, 'সময় সব ক্ষত সাড়িয়ে দেয়'।
কিন্তু তা হচ্ছে কই !
৮ মাস কেটে গেলো। কিন্তু দুঃখ টা তো সেই একই রয়ে গেল।
গত ৭ মাসে অনেক কিছু হয়ে গেছে।
সেইদিন report টা দেখার পর থেকেই আমাদের জীবনটা কিরকম পাল্টে গেছে।
Report এ স্পষ্ট লেখাছিলো যে, অগ্নিভ impotent... অর্থাৎ, বাবা হওয়ার সম্ভাবনা নেই অগ্নিভ-র।
অগ্নিভ-র দিকে তাকিয়ে বুঝেছিলাম, লজ্জায় আর দুঃখে আমার দিকে তাকাতে পারছিলো না।
সেদিন ওর কষ্টটা আমার কষ্টকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।
আমার মনে হয়েছিল, যে সমাজ একটি infertile মহিলাকে অসম্মান করে, সেই সমাজ তো একজন infertile পুরুষকে আরো বেশি করে নির্যাতন করবে। তার কারণ আমাদের সমাজ পুরুষকে perfect দেখতে চায়।
সেই কষ্ট, যন্ত্রনা, অপমান, আর নিজের প্রতি ঘৃণা থেকেই হয়তো, এত বড়ো একটা সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে নিল। একবারও নিজের বাবা-মায়ের কথাটাও ভেবে দেখলো না।
Report টা আসার ঠিক একমাসের মাথায় আমার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেলো। অগ্নিভ সারাজীবনের মতো আমাকে ছেড়ে চলে গেল।
সেই ধাক্কা বাপি আর মামনি খুব স্বাভাবিকভাবেই নিতে পারেনি । বাপি তার ১ সপ্তাহের মধ্যে, ঘুমের ঘোরেই ছেলের কাছে পৌঁছে গেলেন। বাপির অসময়ে চলে যাওয়া এবং আমাদের মানসিক দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে, business partners রা আমাদের পথে বসালো। অবশ্য, ঠিক পথে নয়। বাড়িতেই ছিলাম।
ঐটুকুই বাকি ছিল আমাদের।
------------------------------------------------------------------
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro