৪৩
"এই নাটকের কী খুব বেশি প্রয়োজন ছিল? " ঠাস করে চায়ের কাপটা অরণ্যর সামনে রাখল নিঝুম। রাগে গাটা জ্বলে যাচ্ছে ওর। কী বাচ্চাদের মতো শুরু করেছে ফাহিম ভাইয়ের সামনে এই লোক!
"নাটক হবে কেন? আমার অনার সাথে কথা থাকতে পারেনা? আফটার অল সী ইজ মাই এক্স গার্লফ্রেন্ড।"
"কী বলো... এক্স হবে কেন! আমাদের তো আর সত্যি সত্যি বিয়ে হয়নি। ওটা হচ্ছে লোক দেখান বিয়ে। কাজেই তুমি আরামসে তোমার এক্স, ওয়াইয়ের সাথে ফ্লার্ট করো কিন্তু আমার উপর একটু রহম করো। ফাহিম ভাইয়ের সামনে তোমার এই অনবদ্য অ্যাকটিং দেখাতে যেওনা, বুমেরাং হয়ে শেষেকালে নিজের মাথায় এসেই লাগবে।"
ফোঁস করে উঠল নিঝুম।
"ওহ... বড্ড লাগছে না? আর তোমার ফাহিম ভাই যে খুলেআম তোমাকে বিয়ের প্রেপোজাল দিচ্ছে তার কী? বেয়াদব একটা লোক... মানুষের বিয়ে করা বউ নিয়ে যত টানাটানি," দাঁতে দাঁত ঘষে অরণ্য। ওর এখন আরও রাগ হচ্ছে ওই স্কাউন্ড্রেলটার উপর... আর নিঝুম কিনা তার হয়ে ওর সাথে ওকালতি করতে আসছে?
"তো কী করবে? মানুষ যদি নিজে তার দায়িত্ব এড়ায় তখন অন্য মানুষ তো ছিদ্র খুঁজবেই সেখানে ঢুকে জায়গা করে নেয়ার। এখানে দোষটা কার বেশি, যে সুযোগ খুঁজছে না যে সুযোগ করে দিচ্ছে। "
কথাটা এতই সত্য যে, কথাটা অরণ্যর গায়ে এসিডের মতো এসে লাগল। ভিতরটা একদম জ্বলেপুড়ে খাক গেল ওর।
" আচ্ছা আচ্ছা সব দোষ আমার। এখন আমি তো আর বলিনি যে তাদের মেয়েকে নিয়ে বিদেশে যেয়ে সংসার করব। না...টা মুখের উপর তখনই করে দিতেন। এত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে না বলার দরকার কী ছিল।"
অরণ্যর মেজাজের বহর দেখে নিঝুম হতাশ... কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে। অরণ্য এখন ইচ্ছে করে পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া বাধাচ্ছে ওর সাথে। ফাহিম ভাই পাশের বেদীতে বসেছিলেন অথচ অরন্য বলছে উনি নাকি নিঝুমের গা ঘেষে বসে কথা বলছিলেন। এক নম্বরের হিংসুটে...... আর কী মিথ্যুক সে তো বলাই বাহুল্য।
"ফাহিম ভাইয়ের সামনে অহনার সাথে ওই ভাবে কথা বলাটা কী খুুব বেশি জরুরি ছিল?" নিঝুম একটু রাগ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল। এই নিয়ে আম্মু এখন অশান্তি শুরু করল বলে।
"কেন? কোন সমস্যা?" চায়ের কাপটা ট্রে থেকে তুলে নিতে নিতে প্রশ্ন ছুড়ল অরণ্য। হেড অফিসে খবর পৌছে গেছে বুঝি?
"না সমস্যা হবে কেন? ডার্লিং না সুইটহার্ট এই তো বলেছ। আমার সামনে বসে কোলে তুলে নিয়ে চুমো খাওনি এই তো আমার সাত জনমের ভাগ্য। উপর থেকে অর্ডার হলে সেটাও আবার কবে করবে কে জানে। "
অরণ্য বেশ বুঝতে পারছে নিঝুমও এখন ওর উপর রাগ ঝাড়ছে। কিন্তু ওর নিজের বুকের ভিতরে ঈর্ষার আগুন জ্বলছে ধিক ধিক করে তার কী হবে? আর এতে নিঝুমের কিছু করার ছিলনা জানা সত্বেও ওর উপরেই অভিমান হচ্ছে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে অরণ্যর । অথচ ওর এই কোনঠাসা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে নিঝুম। হঠাৎ সবটা আক্রোশ নিজের উপরেই হলো অরণ্যর... রাগে দুম করে একটা কিল বসিয়ে দিল সামনে রাখা কাঁচের টেবিলটার উপর। ঝনঝন শব্দে ভেঙে পড়ল কাঁচের টেবিলটা।
.........
"খালা আপনি জানেন না.... "
ফাহিম কথাটা পুরোপুরি বলার আগেই ফোনটা ওর হাত থেকে ছিনিয়ে নিল আশু।
"আশু এটা কী ধরনের বেয়াদবি?"
"সরি ফাহিম ভাই, আ.. আমি খুবই লজ্জিত। কিন্তু আপনি প্লিজ আম্মুকে এই কথাগুলো এখন বলবেন না। "
"কেন? কেন বলব না? অয়ন লোকটা নিঝুমকে এরকম অত্যাচার করছে আর সেটা সবার কাছে লুকিয়ে রাখতে হবে কারন ওর এক্স হাজব্যান্ডের বাচ্চা ওর পেটে! এগুলা কী? বাচ্চা যদি লিগাল হয় তাহলে সে তার বাবার পরিচয়েই বড়ো হবে আর নিঝুমের জন্য আমি আছি।"
"আহ্.. ফাহিম ভাই আপনি আগে ঠান্ডা হন প্লিজ। সব সময় এতো হাইপার হলে হবে না। এখানে বড়ো কোন গড়বড় আছে। "
" গড়বড়... আমার কাছে তো পুরো বিষয়টাই গড়বড় লাগছে আশু । সেজন্যই তো রুমানা খালাকে বলতে চাচ্ছি।"
"না আপনার রুমানা খালা জানলে পুরো বিষয়টা আরো বেকায়দা হবে। আমার মনে হয় অয়ন ভাইয়ার সাথে আপু ভালো আছে। "
"আমার তা মনে হয় না। নিঝুম আসলে তোমাদের সামনে ভালো থাকার অভিনয় করছে। আর অয়ন সাহেবের সাথে ভালো থাকার কোন কারন আমি অন্তত খুঁজে পাচ্ছিনা নিঝুমের। একেতো সে নিজে তার গার্লফ্রন্ডের সাথে ওপেনলি ফ্লার্ট করছে সাথে নিঝুমকে সংসার করার নাটকও করছে।"
ফাহিমের ভিতরটা জলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো ফুটছে। আশু ব্যাপারটা উপলব্ধিও করতে পারছে, কিন্তু ও কী করবে? সত্যি সত্যি এখানে অনেক বড়ো নাটক চলছে আর সেটা যে অয়ন করছে না তার আভাস আশু পেয়েছে। কিন্তু একশভাগ কনফার্ম হতে পারছেনা। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ওর সন্দেহ তীব্র হচ্ছে।
"ফাহিম ভাই আপনার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু আপনি প্লিজ এই দুশ্চিন্তা করা থামান।"
"পারছি না, " ফাহিমের এই সরল স্বীকারোক্তিটা আশুর বুকের ভিতরে ভীষন শব্দ করে বেজে উঠল। ফাহিম ভাই আপুকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু জিজু আপুকে তারচেয়ে আরও অনেকগুন বেশি ভালোবাসে।
"ফাহিম ভাই একটা কাজ করতে পারবেন আপনার নিঝুমের জন্য।"
"কী কাজ আশু?"
"বলছি শুনুন...."
আশু কিছু বলার আগেই নিঝুমের চিৎকার কানে এল ওদের... পলকেই শব্দের উৎস ধরে কোনার ঘরের দিকে ছুটল ফাহিম।
.......................................................
"এটা দিব?," ফাস্ট এইড বক্স থেকে হেক্সিসলের বোতলটা ফাহিমের দিকে এগিয়ে দিল নিঝুম।
"উহহ... ঝুম।"
হেক্সিসলের কারনে কেটে যাওয়া চামড়া ভীষন জ্বলছে অরণ্যর। যন্ত্রানায় ঠোঁট কামড়ে ধরল ও।
"বেশি জ্বলছে? " নিঝুম ছলছল চোখে জানতে চায়।
অরণ্য এত জোরে ঘুষি দিয়েছে যে কাঁচের টেবিলটা ভেঙ্গেই গেছে, সাথে বাবু শখ করে নিজের হাতও কেটেছে। ভাগ্য ভাল যে আঘাতটা খুব বেশি গভীর নয়। তবু বার বার ফুঁ দিয়ে কাটা জায়গায় বাতাস দিতে লাগল নিঝুম। ভীষন কান্না পাচ্ছে ওর... আর নিঝুম সেটা আটকানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করলো না। এতো অশান্তি, রক্ত.. ওর আর সহ্য হচ্ছে না।
কিন্তু নিঝুমের কান্না দেখে অরণ্যর মন ভাল হয়ে গেল। শুধু শুধু বউটাকে আবার যন্ত্রনা দিল ও। কিন্তু তারপরও ঝুম ওর জন্য কেমন ভয়ে কেঁদে দিয়েছে ফাহিমের সামনে, এটা দেখে প্রান জুড়িয়ে গেছে ওর। দেখ ব্যাটা ফাহিম... যতই বিদেশে থাক না কেন আর বিদ্যার জাহাজ হোস না কেন, ঝুম কেবল আমাকেই ভালোবাসে।
আশু আড়চোখে তাকিয়ে দেখল ফাহিম ভাই গম্ভীর মুখে জিজুর হাতটা ব্যান্ডেজ করে দিলেন। ওনাকে সম্ভবত আর উদাহারন দিয়ে বোঝানোর দরকার নেই যে আপুর জীবনে জিজুর জায়গাটা ঠিক কতটা। কিন্তু গোপন একটা খেলা এখনো চলছে যেটা জিজু আর আপু দুজনেই জানে আর আশুর কানে সেটা এখন স্পষ্টভাবে ধরা পরে গেছে। কিন্তু ফাহিম ভাই সেই লুকোচুরি খেলাটা জানে না। আপুকে জিজ্ঞেস না করে ফাহিম ভাইকে সেটা জানানও ঠিক হবে না। কিন্তু জিজুকে এই খেলার ফলাফল হিসেবে একটা নাকানি চুবানি তো আশু খাওয়াবে।
অরণ্যকে ব্যাথার ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ভাঙা কাচগুলো পরিস্কার করতে যাচ্ছিল নিঝুম কিন্তু অরণ্যর চিৎকার শুনে থমকে যেতে হলো ওকে।
"তুমি সর... এগুলো তোমার পরিস্কার করা লাগবে না।"
অরণ্যর কথা শুনে নিঝুম মাথা ঝাঁকিয়ে আবার কাজে মনযোগ দিল।
"ঝুম প্লিজ.... আই অ্যাম সরি। তুমি প্লিজ সরে বস আমি করছি। "
"না তুমি সরি বলছো কেন? সরি তো আমি বলবো, সব দোষ তো আমার। আমি আশুকে মানা করে দিলেই হতো, আমি তো জানতামই যে ফাহিম ভাই এধরনেরই কিছু বলবেন।"
"বউ প্লিজ, আমার আসলে... আমি খুব টেনশনে আছি ভিতরে ভিতরে, কারও সাথে শেয়ার করতে পারছিনা কোন কিছু, এই জন্য এরকম তালছাড়া আচরন করে ফেলছি। অ্যাই অ্যাম রিয়েলি ভেরি সরি।"
নিঝুমের ভিতরটা আবার কষ্টে মুচড়ে উঠল। আসলেই অরণ্যর ভিতরে ভিতরে কত রকম টেনশন, আর ও সেখানে একেবারেই আর দশটা পাঁচটা মানুষের সাথে অরণ্যর তুলনা করে ওকে বকাবকি করেছে, রাগ দেখিয়েছে। একদমই উচিত হয়নি।
ভাঙা কাচগুলো ফেলে দিয়ে অরণ্য পাশে এসে বসল নিঝুম।
" আমিও আসলে ধৈর্য রাখতে পারিনি... সরি।"
হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই নিঝুমকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরল অরণ্য, " ঝুম আমি তোমাকে কখনই কষ্ট দিতে চাই না, কিন্তু যতই আমি তোমাকে কষ্ট দিতে না চাই ততই বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলি। প্রথমবার তোমাকে ঘোরাতে নিয়ে গেলাম যে দুজনের মনে রাখার মতো কিছু সুন্দর স্মৃতি জমা করব, কিন্তু হলো তার উল্টো। সুন্দর দূরে থাক আরও অসুন্দরে ভরে দিলাম দিনটা। আবার হলুদের আগের দিন তোমাকে এক নজর দেখতে চাইলাম তার পুরষ্কার হিসেবে পেলাম নিজের ভাইয়ের মরদেহ আর তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ার আদেশ।
তুমি কি জান ঝুম... প্রতিটা সেকেন্ডে তোমার কাছে ছুটে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যেতাম আমি
অথচ আমাকে দেখাতে হতো যে তোমাকে দেখলে আমার বিরক্ত লাগে। নিজের সন্তান.... তাকে পিতৃপরিচয়হীন ভাবে মানুষের করুনা কুড়াতে হয়েছে পৃথিবীর আলো দেখতে চায় বলে, ওই অনুভূতি আমি কারো সাথে ভাগ করতে পারিনি ঝুম। খুব ইচ্ছে হতো তোমাকে জড়িয়ে ধরে বলি, আমি আছি... আমি আছি। তোমাদের সামনে ঢাল হয়ে আমি আছি। কিন্তু সেই কথাগুলো বলার মতো জোরাল স্বর আমার ছিলনা। কেবল বোবা কান্নায় রাত পার করেছি। আমি আসলে তোমাদের কখনই সুখি রাখতে পারিনা, কিছুই দিতে পারিনা, কিছুই না। "
নিঝুম কিছুতেই নিজের ফোপাঁনো বন্ধ করতে পারছিলনা। অরণ্যর কথাগুলো তানপুরায় তোলা সুরের মতো ওর বুকের মধ্যে গিয়ে বাজছিল। কী করুন সেই আর্তনাদ, সামলে রাখা কঠিন। এতদিন কেবল নিজের আর নিজেদের অনাগত সন্তানের কষ্টের কথা মনে হয়ে মনটা বিষাদে ছেয়ে যেত নিঝুমের, আজ সেখানে অরণ্যর কষ্টগুলোও এসে জমা হলো। নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে অরণ্যকে আকড়ে ধরল ও।
"অরণ্য প্লিজ.... আমাদের তো তোমাকে ছাড়া আর কিছু চাই না। এই তো তুমি বললে তুমি আছ আমাদের জন্য ঢাল হয়ে, আমাদের সুখি হওয়ার জন্য এরচেয়ে বেশি আর কী লাগবে বলো ? আ... আমার আর কিছুই চাই না।"
"কেন মানুষের কত কিছু লাগে... ভাল বাড়ি, গাড়ি, শাড়ি, গয়না। আমি তো তোমাকে ফকিরের মতো বিয়ে করে আনলাম। নিজের বিয়ের আনন্দটুকুও আমি তোমায় দিতে পারলাম না।"
তিক্ততার সাথে জবাব দিল অরণ্য। জীবন আসলে কী আজব খেলা খেলল ওর সাথে। মনে হয় ও একটা অভিশাপগ্রস্থ লোক, ওর কাছেপিঠে যারা থাকবে তাদের জীবনটাও দুর্বিসহ করে তুলবে ভাগ্যবিধাতা।
বুকের ভিতরে কষ্টগুলোর যে ঘূর্ণি তৈরি হয়েছে নিঝুমকে বুকে পেয়ে সেটা কেবল ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর হতে লাগল অরণ্যর। আর কথা বাড়াল না ও... ফরসা মুখটা ততক্ষণে রাগে ক্ষোভে লাল হয়ে গেছে ওর। মনে মনে আসলে নিজের সাথে লড়ছে ও।
" এতোদিন তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ এখন তার ফাইন চাই," নিঝুম আদুরে গলায় আবদার করল।
নিঝুম যে ওর বেসামাল মনটাকেই শান্ত করার চেষ্টা করছে বুঝতে সমস্যা হলো না অরণ্যর। ও নিজেও আসলে সময়ের এই অসহ্য বেড়াজাল থেকে মুক্তি চাইছে। কিন্তু অয়ন নামের পিছুটান যে ওকে মুক্তি দেয়না। তাইতো বার বার ওই অহনা নামের নিষ্ঠুর মেয়েটার ডাকে সারা দেয় ও। অহনা যে ওর তুরুপের তাস। তাই এই মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অরণ্যর কাছে অহনা এত দামী, এত প্রিয়।
.........................................................
"ফাহিম ভাই! আপনি এখানে দরজার সামনে কী করছেন? "
"আশু আমি আসলে.. মানে আমি আসলে অয়ন সাহেবকে বলতে আসছিলাম যে একটা অ্যান্টবায়েটিক ওনার খাওয়া উচিত। নইলে ইনফেকশন হতে পারে।"
"ওহ... আচ্ছা তাহলে যান, বলুন।"
"না.. না.. ওরা কথা বলছে নিজেরা। "
"ওহ আচ্ছা। দাঁড়ান আমি ডেকে দিচ্ছি.. আপ..পপপপপ... পুু,"
কিন্তু ফাহিম ততক্ষণে দু'হাত দিয়ে আশুর মুখ চেপে ধরেছে। আশু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো... ফাহিমের চোখের কোল বেয়ে আঁকা বাঁকা এক নদীর জন্ম হয়েছে।
আশু ভিতরে ভিতরে চমকে যায়। ব্যাপারটা তাহলে কী দাঁড়াল? ফাহিম ভাই কী তাহলে সব জেনে গেছেন?
জীবন খুব অদ্ভুত।
দরজার ওপাশে যখন কেউ পছন্দের মানুষকে না পেয়ে মনে মনে কাঁদছে ঠিক তখনই দরজার এপাশে একজোড়া নতুন বাবা- মা তাদের অনাগত সন্তানের জন্য হাজার স্বপ্ন বুনছে। একজন আরেকজনকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে নতুন প্রানের অস্তিত্বকে অনুভব করার চেষ্টা করছে আর প্রশান্তির হাসি হাসছে। সেই আনন্দ অগনিত ফুলের রেনুর মতো বাতাসে ছড়াচ্ছে... উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরো বাংলোর আনাচে কানাচে।
চলবে.......
( ভুলত্রুটি মার্জনীয়... আর লিখার মতো অবস্থা নাই)
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro