যদি হতে তুমি চির সঙ্গীনী
ঘোর লাগা চোখে যেন কোনো এক ভোরে-
ঘুম ভাঙি ভাঙি করা- আমি তুমি এক ঘরে!
কত কুয়াশার পানি জমে জানলার কাঁচটায়,
কত আলো খেলা রংধনু চাদরের ভাজটায়..
তবু চোখ মেলি কেন জানি খুব ভয়ে,
এই বুঝি উবে গেল- সবকিছু ধুপ হয়ে!
কত সাধনার মন্ত্রে যে এলো- এই নন্দিনী,
আজ প্রেয়সী কি হলো তবে- চির সঙ্গিনী?
কেন যেন জানালার কাছে এসে বসেছি,
এই বুঝি কাঁদি ফের- অকারণে শুধু শুধু হেসেছি,
পৃথিবীটা কেনো আজ এতো বেশি সুন্দর?
মন চায় চিল হয়ে মেঘে মেঘে ভাসতে!
আজ উৎসবে রাঙা আমাদের ছোটো বন্দর,
চাই সারা পৃথিবীকে আরো বেশি ভালোবাসতে।
সাগরের কূল থেকে যেন কত স্নিগ্ধতা-
ধেয়ে এসে এই বুঝি ঘরখানি ভরছে!
ভুলগুলো ভিমরুল হয়ে উড়ে কত মুগ্ধতায়
ফুল হয়ে বিছানাতে ঝরে ঝরে পড়ছে!
যদি কানে কানে বলো- একবার ভালোবাসি,
বেদনার লোনা পানি ঝেড়ে তব কাছে আসি,
কত অশ্রুতে জমা প্রদীপের দুখটুকু-
জ্বলে খাঁক হয়ে ফেরে ঘরে আঁধারের সুখটুকু-
চাদরের শেষ মাথা প্রেয়সীর বুক ছুঁয়ে-
কিছু রুক্ষতা যাবে মিশে আদরের সুখ হয়ে।
কিছু শুভ্রতা দেবো ঢেকে- পিছনের চুল খুলে,
এতো তীব্রতা তার প্রেমে ছুটে চলি সব ভুলে
প্রেয়সীর চুল বেয়ে জল যত গাল বেয়ে ঝড়বে,
হু হু করা হুতাশন- ঘুঘুদের পাল ঘিরে ঘুরবে,
প্রেয়সীর কাঁধ বেয়ে যত আদ্রতা- মোহনাতে নামবে
হৃদয়ের মত্ততা নীরবতা ছেপে গোধূলিতে থামবে
এ ঝরনার পানি হোক চির বহমান।
কান পেতে থাকি পাহাড়েতে আড়ি পেতে
এই বুঝি এলো মোর আহবান।
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro