15
"প্রীতি.... "
"শ্রাবনদা আমায় ডাকছিলে? "
"তোর নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে? "
শ্রাবণের কথা শুনে হেসে কুটিকুটি হচ্ছিলো প্রীতি।
"বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে এতো খুশি তোর?" শ্রাবণ অবাক হয়ে জানতে চাইলো। ও মনে করেছিলো প্রীতি লজ্জা পাবে, কিন্তু এখন তো ঘোর কলিকাল তাই বোধহয় এসব শিষ্টাচার একরকম উঠে যাচ্ছে।
"এমা ছি... তা নয় শ্রাবনদা। দাদার বকা শুনে বিয়ে ভেস্তে গেছে," প্রীতি হাত দিয়ে মশা তাড়াবার ভঙ্গিতে কথাটা বললো।
"ওহ তাই বল,আমি ভাবলাম তুই বুঝি বিয়ের খুশিতে নাচছিস।"
"ধুর... আমার আগে সুমনদি আছে না? আর দাদা তো মাকে এতো বকেছে যে, সহজে মা আর আমার বিয়ের নাম নিবে না।"
"হমমম " শ্রাবণ হাসলো। এই মঞ্জুমামীর কাজই হলো সব কিছুতে ভেজাল পাকানো।
"আমি এবার যাব শ্রাবন দা... দেরী হলে মা আবার বকবে।"
"হ্যাঁ, ঠিক আছে তুই যা।"
কিন্তু প্রীতি চলে যাবার পরেও, 'আমার আগে সুমনদি আছে না?' কথাটা পিছু ছাড়লো না শ্রাবণের।
"ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়
বাজায় বাঁশি
ভালোবাসি ভালোবাসি
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাজে
দিগন্তে কার কালো আঁখি
আঁখির জলে যায় ভাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি"
অরুনিমারদির কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত শুনতে শুনতে সুমনের কেমন দমবন্ধ হয়ে আসছিলো। অরুনিমাদি, চারুর পিসতুতো বোন।
সুমন ভেবে পাচ্ছিলো না এতো চমৎকার করে মানুষ গান গায় কি করে? কি দরদ ঢেলেই যে গানটা গাইলো অরুনিমাদি, সুমনের মনে হচ্ছিলো ওর মনের কথাগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
"আদিত্য কাল আমাদের থিয়েটারে নাটক দেখাতে নিয়ে যেতে চেয়েছে অরুনিমা, তুই যাবি আমাদের সাথে?" মনোরমা জানতে চাইলেন। অরুনিমা বহুদিন পরে বেড়াতে এসেছে মামাবাড়ি।
" না গো মামী, আমার সামনের সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, নাটক দেখতে গেলে শেষকালে পরীক্ষায় পাশ করাই হবেনা।"
"কি যে বলিস... একবেলা নাটক দেখলে বুঝি কেউ ফেল করে?"
অরুনিমা হাসে, সত্যি বললে কি আর মামী ওকে ছাড়বে, কাল সারাদিন রাজীবের সাথে ঘুরবে ও, বেচারা ওকে খুব মিস করছে।
মনোরমার কথা শুনে সুমন তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসার জন্য উঠে দাড়াল। মন ভালো ছিলো না বলে ও দুপুরে খেয়েই আজ চারুর সাথে গল্প করতে চলে এসেছিলো। শ্রাবনদাকে যতোটুকু পারে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ও এখন। কষ্ট হয়না তা না কিন্তু ওর কষ্ট শ্রাবণদার খুশির চেয়ে দামী নয় এই যা।
সুমনকে উঠতে দেখেই মনোরমা ওর হাত চেপে ধরলেন," অ্যাই তুই কোথায় ছুটছিস... বোস একটু। আমি আজ পায়েশ করেছি সবার জন্য, খেয়ে তারপর যা।"
সুমন আবার বসে পড়লো। ও যেখানে বসে আছে সেখান থেকে শ্রাবণদাদের বাড়ির ছাদটা স্পষ্ট দেখা যায়। সুমনের মনে হলো লম্বা মতো কেউ একজন ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে এ দিকেই তাকিয়ে আছে। বুকটা ভীষন জোরে ধ্বক করে উঠলো সুমনের...অন্ধকার হলেও ওটা যে শ্রাবনদাই সেটা বুঝতে সমস্যা হলো না সুমনের। কিন্তু পর মুহূর্তে নিজেই নিজেকে খুব করে বকলো সুমন। শ্রাবনদার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নাই যে ওখানে এসে দাড়িয়ে থাকবে ওকে দেখার জন্য, তাও এই সন্ধ্যেবেলায়। স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু সেটাও সীমার মধ্যেই দেখা উচিত।
"কিরে সুমন টেবিলে আয়, মা পায়েশ খেতে ডাকছে।"
"আসছি," সুমন আর বাইরে তাকালো না। প্রতিটি
মুহূর্তে ও প্রার্থনা করে যেন শ্রাবণদার কথা ভুলেও আর মনে না আসে কিন্তু পোড়ার চোখদুটো যেদিকে তাকায় সেদিকেই শুধু ঐ মুখটাকেই খোঁজে।
"তোর কি তাহলে ঐ মেয়েটাকে পছন্দ? " নির্মলা বড় ছাপবাক্সটা খুলে শীতের কাপড় গোচ্ছাছিলেন।
"কোন মেয়েটাকে? " শ্রাবণ অবাক হয়ে জানতে চাইলো। মা কোন মেয়ের কথা বলছে!
"ঐ যে মৌমিতা বলে তোর যে তোর বান্ধবী, ওই মেয়েটা।"
"মা... মৌমিতা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। তুমি এর মধ্যে এসব আজেবাজে চিন্তার রসদ কোথা থেকে পাও বলতো? " শ্রাবণ এমনিতেই আজকাল মহা বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছে, তার উপর মা যে কোথা থেকে এসব উদ্ভট জিনিস যোগাড় করে সেই জানে।
"বারে তাহলে তুই বিয়ে ভাঙ্গলি কেন? "
"আশ্চর্য আমি কখন বিয়ে ভাঙ্গলাম, মেয়ে পক্ষই তো পিছিয়ে গেল।"
"তো যাবে না তো কি... তোমাদের মেয়ে বন্ধুরা সব এসে তোমাদের গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে, তো এতে মেয়ের মামার আর কি দোষ ? " নির্মলা হেসে হেসে টিপ্পনী কাটলেন।
"মা এসব কিন্তু অতিরিক্ত হচ্ছে। কে কখন আমার গলা ধরে চুমু খেল?"
"আমি সামনে ছিলাম বলে খেতে পারেনি নইলে ঠিক খেত। "
শ্রাবণ দাঁতে দাঁত চাপলো। এই মুহুর্তে মাথা ওর ট্রেনের ইঞ্জিনের মতোই গরম। তার মধ্যে মা এসে ইচ্ছে করে এসব মজা করছে।
"তাহলে কি তোর ঐ লাবণ্য মেয়েটাকে পছন্দ? মেয়েটা কিন্তু খুব সুন্দর করে কথা বলে। কপালে কি সুন্দর টিপ দেয়.... ভারী মিষ্টি দেখতে।"
" টিপ তো সুমোও দেয়," কথাটা মুখ ফস্কে বলেই চুপ হয়ে গেলো শ্রাবণ। মুখটাও আজকাল বেঈমান হয়ে গেছে সুমোর মতো। তাই এক রকম পালিয়ে চলে এলো শ্রাবণ মায়ের ঘর থেকে। নির্মলা অবশ্য শ্রাবণের কথাটা তেমন আমলে নিলেন না। ও দুটো সারাদিন একজন আরেকজনের পিছনে লেগে থাকে আর গোল বাঁধায়, ভাগ্যিস দুটো জমজ ভাইবোন হয়নি.... হলে গলায় দড়ি দিতে হতো নির্মলার।
আজকাল শ্রাবণের ঘরে মোটে আসেই না সুমো, এমনকি ঘরও গোছায় না। শুধু মাঝে মাঝে রান্নাঘর থেকে পরিচিত কন্ঠটা শুনতে পায় শ্রাবণ, কিন্তু এরকম হলে শ্রাবণ রাগ দেখাবেটাই বা কাকে, সুমো ছাড়া আর কারও উপর ওর তো রাগ ফলানোর অভ্যাস নেই।
অসহায় রাগটা ততক্ষনে আবারো বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো থেকে থেকে চমকাচ্ছে শ্রাবণের মনের ভিতরের ছোট্ট খুপরিতে। এই অসহ্য অশান্তিটুকু উগরে দিতে না পারা পর্যন্ত শ্রাবণের শান্তি নেই আর রাগ ঢালবার পাত্রীরও কোন খোঁজ নেই। সে দিব্যি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। শ্রাবণের কোন খোঁজ রাখারই তার দায় নেই আজকাল, একদম অকৃতজ্ঞ একটা মেয়ে। কিন্তু সুমোটা যে এরকম করছেই বা কেন... কতবার করে নানা কায়দায় তো মাফ চাইলো শ্রাবণ। তারপরও শুধু শুধু জেদ ধরে বসে আছে..... শয়তান একটা মেয়ে।
শ্রাবণ, প্রীতিকে তখন বার বার বলে দিয়েছিলো সুমন বাসায় আসলে অবশ্যই যেন আজ ওর সাথে দেখা করে অথচ সে আসেনি, চারুদের বাড়ি গিয়ে বসে আছে। আদিত্যর সাথে গল্প না করলে আজকাল সুমোর পেটের ভাত হজমই হতে চায়না, ভর সন্ধ্যাতেও তাই আজকাল ও বাড়িতেই আঠার মতো লেগে থাকে।
শব্দ করে ঘরের মধ্যে আলো জ্বলে উঠতেই কেঁপে উঠলো সুমন। ইশশ... কি অপদস্তটাই না এখন হতে হবে। কথাটা আসলেই একশ ভাগ সত্যি, যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়। তা না হলে ও তখন দিব্যি শুনে এলো যে, মা আর ছেলেতে মিলে দিব্যি বিয়ের আলোচনা চলছে অথচ ও আলমারি খুলে জিনিসটা সরিয়ে নিতে পারলনা অমনি সে এসে হাজির।
শ্রাবন লাইটটা জ্বালিয়ে চিৎকার করতে যেয়ে থেমে গেল। কে ওটা আলমারির সামনে?
"কি চুরি করতে এসেছিলি শুনি?" সুমনের পেছনের হাতটা জোরে চেপে ধরলো শ্রাবণ।
"আমি কিছু চুরি করিনি শ্রাবনদা, বিশ্বাস কর।"
"বললেই হলো তুই হলি ঘাঘু চোর, কি নিয়েছিস বল?"
"এই ওষুধ দুটো নিতে এসেছিলাম,"সুমনের মুখটা পিচের চেয়েও কালো হয়ে গেল। প্রীতির সেই ভাঙ্গা জায়গার ব্যাথাটা আবার কেন যেন বেড়েছে। আসলে আমাবস্যা- পূর্নিমায় এসব ব্যাথাগুলো কেন যেন বাড়ে। সুমন তাই দুুটো ব্যাথার ওষুধ নিতে এসেছিলো, কিন্তু এভাবে চোরের মতো ধরা পড়ে যাবে বুঝতে পারেনি।
শ্রাবণ তখনও সুমনের হাতটা শক্ত হাতে ধরে রেখেছে। শীতে গাছে পাতা না থাকলে যেমন ন্যাড়া লাগে, সূর্যটা মেঘের আড়ালে লুকালে মনটা যেমন ভারী হয়ে আসে, সকাল সকাল মায়ের বকুনিটা না খেলে যেমন মনে হয় কি যেন খাওয়া হলো না, ওর শক্ত হাতে ধরে রাখা এই মেয়েটা না থাকলেও ঠিক তেমনি ওর ঘরটায় কোন প্রান থাকে না... বুক ভরে শ্বাস নিয়েও শান্তি লাগে না। কিন্তু এখন ঘরটা আলোতে ভরে গেছে... অন্যরকম আলোয়, শ্রাবণ আলোটার নাম জানেনা। কিন্তু ওর ভালো লাগছে, অদ্ভুত এক স্বস্তিতে মনটা ভরে গেছে।
"আমি খুব অন্যায় করেছি... আর কোনদিন তোমায় না বলে তোমার ড্রয়ার ছোঁব না।"
শ্রাবন উত্তর না দিয়ে কান্নাভরা চোখদুটো মনযোগ দিয়ে দেখছিলো, কতদিন এই বড় বড় চোখদুটো ও এতো কাছ থেকে দেখেনি, কাউকে বকেনি, কানদুটো মলে দেয়নি। এই কতদিনটা কতদিনের? শ্রাবণতো ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছিল ওকে না পেয়ে, অথচ এই হতচ্ছাড়ি পাঁজি মেয়েটার একবারও ওর বকা খেতে ইচ্ছে হয়নি!
"কেন? "
"কি কেন?"
"বলছি আমার আলমারির ড্রয়ারের হিসেবটা তো বরাবর তোর কাছেই থাকে, তাহলে ওতে হাত দিবি না কেন? "
"আমার হিসেবে খুব গোলমাল হয় শ্রাবণদা, এখন থেকে তুমি নিজে হিসেবটা রাখলে ভালো হয়।"
"আমার ওসব ফালতু হিসেব রাখার সময় নেই... তুই পারবি কিনা সেটা বল।"
"কিন্তু বাড়ির কাজের লোক হয়ে এতোবড় দায়িত্ব নেওয়াটা কি ঠিক হবে, না বুঝে যদি তোমার ক্ষতি করি।"
"আর ক্ষতি... যে অপূরনীয় ক্ষতিটুকু করেছিস তা তো আর কোনদিন পূরন হবেনা, তবে আর যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য এখন থেকে মনযোগ দিয়ে কাজ করবি।"
"কাজ! "
"হুমম... তুই তো বললি তুই বাড়ির কাজের লোক। তাই আমি ঠিক করেছি তোকে আমার ম্যানেজার বানাবো।"
"মানে? "
"মানে আপাতত আমার এই আলমারির দায়িত্ব তোর। প্রতিদিন সকালে উঠে আর সন্ধ্যায় বাড়ি এসে যেন দেখি তুই আমার সামনে উপস্থিত। প্রতিদিনের হিসেব প্রতিদিন দিবি মনে থাকে যেন।"
"প্রতিদিন সকাল- সন্ধ্যা! আর আমি যদি এই চাকরি না করি, আমার সামনে পরীক্ষা... সব সময় আসা সম্ভব না।"
"না করলে আমার আলমারি থেকে যা টাকা- পয়সা, ওষুধ, চকলেটের পয়সা, এমনকি তোকে যে এতো বছর ফ্রীতে পড়িয়েছি সেটা কড়ায় গন্ডায় তোকে ফিরিয়ে দিতে হবে।"
"কি! "
"হ্যাঁ, সিম্পল। গিভ অ্যান্ড টেক। এই হাত দিয়ে নাও আর এই হাত দিয়ে দাও।"
সুমন মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো। শ্রাবণদা কেন শুধু শুধু আবার ঝামেলা পাকাচ্ছে। বেশ তো ছিলো ও দূরে দূরে, আবার কেন কাছে ডাকা? চিৎকার করে কাঁদতে চাইলো সুমন কিন্তু এভাবে সঙ সেজে মানুষকে দেখানোর কোন শখ নেই ওর। কান্নাটা তাই গিলে ফেললো সুমন।
সুমন খুব দুঃখ পাচ্ছে ওর কথায় বুঝতে পারছে শ্রাবণ, কিন্তু ওর কিছু করার নেই। ইনফ্যাক্ট ওর হাতে কিছুই নেই। শ্রাবণ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, জরুরী ভিত্তিতে ওর ওষুধ চাই আর সুমো ছাড়া অন্য কোন ওষুধের নাম ওর জানা নেই। তাই সুমোকে কিছুটা দুঃখ দিয়ে হলেও শ্রাবণকে বাঁচতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা এই আদিত্যর কাছ থেকে না সরালে ওর সুমো বেদখল হবার সম্ভাবনা আছে। সুমো শুধু শ্রাবণের ব্যাস.... ডিসিশন ফাইনাল আর আদিত্যকে এটা মানতে হবে।
"আমি কি এবার যাব?"
"কাল সকাল সকাল বই খাতা নিয়ে চলে আসবি।"
"কিন্তু আদিত্যবাবু তো... "
"আমি পড়িয়ে দিব। "
"কিন্তু তুমিই বলেছিলে আর পড়াবে না ।"
"সেই আমিই তো বলছি যে আবার পড়াবো , তোর প্রবলেমটা কোথায় বলতো সুমো? না মানে আমি ভালো পড়াই না এটা বলতে চাইছিস।"
"এমা.. না.. না তা বলবো কেন? " মনে মনে নিজের কপাল চাপড়ালো সুমন। তোমার কোন দোষ নেই শ্রাবনদা। তুমি তো সবসময়ই ভাল পড়াও, সব দোষ আমার। তুমি যতক্ষন কথা বলো আমিতো সবই শুনি... শুধু বুকটা ইদানিং এতো ধুকপুক করতে থাকে যে কথাগুলো কান দিয়ে ঢুকে যে কোথায় হারিয়ে যায় তা শুধু আমার মন জানে।
"হমম.. তাহলে কাল থেকে নিয়ম করে এঘরে পড়তে আসবি।"
"আচ্ছা। "
"কথার কোন নড়চড় যেন না হয়।"
"হবেনা। "
"ঠিক আছে যা। আর প্রীতিকে এই ওষুধের সাথে গ্যাসের ওষুধ দিস দয়া করে, নাহলে শুধু ব্যাথার ওষুধ গিলিয়ে শেষে উকিলের ঘাড়ে সব দোষ দিবি। এখনতো আবার একজন দিগগজ পন্ডিত মশাই আছে তোদের।"
সুমন, শ্রাবণের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে এক ছুটে সোজা বাসায় চললো। দিগগজ পন্ডিত... হাসতে হাসতে নিজের ঘরে ঢুকলো সুমন, আদিত্য বাবুর কপালে ভালো একখানা নাম জুটলো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার মন ভারী হয়ে এলো সুমনের, কাল সকাল থেকে আবার নতুন কি তান্ডব শুরু হবে কে জানে?
শ্রাবন অনেকদিন পর একা একাই প্রান খুলে হাসলো," সুমো তুই এতো সাফাইয়ের সাথে চুরি কবে শিখলিরে, আমার মনটা কখন চুরি হয়েছে আমি টেরই পাইনি। এখনতো তুই বাড়ির কাজের লোক না হতে চাইলেও তোকে ওই পদে নিয়োগ করবো। আমার এখন চব্বিশ ঘন্টা তোকে চাই চোখের সামনে। "
চলবে......
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro