Chào các bạn! Vì nhiều lý do từ nay Truyen2U chính thức đổi tên là Truyen247.Pro. Mong các bạn tiếp tục ủng hộ truy cập tên miền mới này nhé! Mãi yêu... ♥

চেনা-অচেনা-২

বাড়িতে ফিরেই আবির প্রথমে সাফাকে ফোন দিল। সাফা আবিরের বেস্ট ফ্রেন্ড। সেই কোন ছোটবেলায় সাফাকে রাজশাহী চলে যেতে হয়েছিল‚কিন্তু এতে ওদের বন্ধুত্ব কমেনি। শুধু ফোনে ফোনেই তাদের কথা হয়। সাফা গত একমাস হল ঢাকায় এসেছে। কিন্তু তবুও ওর সাথে দেখা করার সময় করে উঠতে পারে নি আবির। কিন্ত তাতে কি হয়েছে? নিজের জীবনের সমস্ত ছোট-বড় কথা সাফাকে না  বললে রাতে ঘুমই হয় না আবিরের।

দুবার রিং হতেই সাফা ফোন ধরল।

“দোস্ত‚পড়ে গেলাম!”

“কোথায়? কখন? কিভাবে? কেন?”

“আরে থাম! আমি প্রেমে পড়ার কথা বলছি‚গর্ধভ!”

“সত্যিই?!”,দ্বিগুণ উৎসাহে লাফিয়ে উঠল সাফা‚ “ নাম কি? কোথায় থাকে? দেখতে কেমন? কি করে? বিয়ে কবে?.....”

“আরে থাম কোশ্চেন ব্যাংক! তোর সব প্রশ্নের এক কথায় উত্তর ‘জানি না’।”

“উজবুক! তাহলে কিসের প্রেম?”

“আরে দাঁড়া! আজকেই তো মাত্র দেখা হলো‚
বিয়ে তো অনেক দূর।”

“যা ভাগ। ফালতু টাইম নষ্ট! অবশ্য তুই আমার সাথেই দেখা করলি না এখনো‚প্রেম যে কি করবি তা জানা আছে!”

বলেই সাফা ফোন কেটে দিল। আবিরের ইচ্ছা করছে এই মেয়েটাকে ঘুরিয়ে চড় লাগাতে। মুখের উপর ফোন কেটে দিল!

**************************************************

সোহেল আর আবির বইমেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক ঘন্টা ধরে কেবল ঘোরাই হচ্ছে‚একটা বইও কেনা হয়নি। বেশিরভাগই পুরানো বই। পাঞ্জেরীর স্টলে ছোটদের কমিকস ছাড়া নতুন তেমন কিছু নেই। অন্যান্য স্টলগুলোর ও একই অবস্থা। এখন শেষ ভরসা ‘সেবা প্রকাশনী’।

সেবাতে বিভিন্ন বই নাড়াচাড়া করতে করতে একটা নতুন বই চোখে পড়লো।

“মামা‚ঐ বইটা দেখি”,আবির বলল।

“কোনটা?”

“ ‘মেঘ বৃষ্টির আমন্ত্রণে’ বইটা দেন”,আবিরের সাথে আরো একজন বলে উঠল।

আবির ঘুরে তাকাতেই আবার চোখাচোখি হল সেই মেয়েটার সাথে।

“আরে আপনি? ভালো আছেন?”

“আমি কি আপনাকে চিনি?”,মেয়েটা আশ্চর্য হয়ে গেছে।

“আরে‚সেদিন যে সিড়িতে ধাক্কা লাগল....”

মেয়েটা কিছু না বলেই বইটা কিনে ফেলল। তারপর ঘুরে চলে যেতে চাইতেই আবির পেছন থেকে বলল‚“আপনার নামটা জানতে পারি?”

মেয়েটা চশমাটা চোখের উপর তুলে দিয়ে ‘না’ বলে চলে গেল।

*********************************************

আবির বারান্দায় বসে প্রকৃতির রূপ দেখছিল।এমন সময় মা এল চা নিয়ে‚সঙ্গে এল বিয়ের প্রসঙ্গ।

“মেয়েটার ভাল নাম রাজিয়া আহমেদ‚ডাক নাম জিয়া। কি অসাধারণ নাচে...”

আবির মাকে থামিয়ে দিল‚

“আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জিয়াকে বিয়ে করলে ধরে ফাঁসি দেবে! আর নৃত্যশিল্পী দিয়ে আমি কি করবো?”

“ফালতু বকিস না তো! আর আমার শিল্পী ছেলের জন্য একটা শিল্পী বউ আনবো না!”

“আমি শিল্পী? উফ্ফ‚মা...... আর্কিটেক্ট!”

“ঐ একই হলো। যাহা মুরগী‚তাহাই চিকেন!”

উফ্ফ! মা আবার নিজে প্রবাদ বানানো শুরু করে দিয়েছে!

*********************************************

আবির বিগত আড়াই ঘন্টা ধরে সোহেলদের বাসার ছাদে হাঁটাহাঁটি করছে। সোহেল কিছুই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ করে তাদের বাসার ছাদ আবিরের এত পছন্দ হয়ে গেল কিভাবে! নাহ্... কিছু তো একটা খটকা আছে।

এদিকে আবির যার জন্যে অপেক্ষা করছে তার কোনো খবর নেই। কি ব্যাপার? আজকে কি আসবে না‚ নাকি?

অবশেষে প্রতিক্ষার পালা শেষ হল। মেয়েটা তার ছোট বোনকে নিয়ে ছাদে এসেছে। কিন্তু আবিরকে কে যে সে এখানে আশা করেনি তা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

“আবার আপনি?”,মেয়েটা ছোট করে নিঃশ্বাস ফেলল।

“ঠিক তাই। নামতো বললেন না‚অন্তত সোশাল মিডিয়ার আইডি...”

“আমি অ্যান্টিসোশাল”,বলেই মেয়েটা দড়িতে কাপড় মেলে দিতে লাগল।

হাতের কাজ শেষ হলে একটু পরে এসে বলল‚

“শুনুন‚আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি। তাও অনেকদিন ধরে। সো..স্টপ ফলোয়িং মি”

চলবে.......

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro