Chào các bạn! Vì nhiều lý do từ nay Truyen2U chính thức đổi tên là Truyen247.Pro. Mong các bạn tiếp tục ủng hộ truy cập tên miền mới này nhé! Mãi yêu... ♥

৩৩

নতুন মেয়েটা কে খোঁজ লাগাও সবুজ মিঞা... আর খুব তাড়াতাড়ি খবরটা আমার কাছে পৌছে দিবে। কোনো রকম ভুলচুক যেন না হয়।

জি ম্যাডাম, কোনো ভুলচুক হবেনা।
সবুজ মিঞা অভয় দিল ফোনের ওপাশে থাকা মনসুরা খানম নামক মহিলাটিকে।

কাজটা ঠিকঠাক করে করো। ভালো পেমেন্ট পাবে। তবে এবার কাজের পরে টাকাটা পাবে। আর কোনো রকম গড়বড় হওয়া যাবে না... মানে হওয়া যাবে না, বুঝলে।

মনসুরা ম্যাডামের কথায় সবুজ মিঞার মেজাজটা একটু বিগড়াল। কিন্তু তারপরও এই মহিলা ওর ভালো খদ্দের। ওকে দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করায়। আর প্রত্যেকটা কাজের জন্যই ভালো পারিশ্রমিকও দেয়। বিরক্তিটা তাই  গিলে ফেলতে হলো সবুজ মিঞাকে, যা তার জন্য প্রায় দুঃসাধ্য একটা কাজ। কিন্তু টাকার জন্য সবই সহ্য করা সম্ভব।

....................

মাটি চোখ মেলার চেষ্টা করতেই কেমন টনটন করে উঠল আশপাশের শিরাগুলো। প্রথম আলোকরশ্মিকে মনে হলো ধা চকে চকে তলোয়ারের প্রতিফলিত বিচ্ছুরণ। এতটা আলোর ঝলকানি... অসহ্য বোধ হলো মাটির। হালকা করে গুঙিয়েও উঠল ও।

খুব বেশি খারাপ লাগছে?

গলাটা একটু কেঁপে গেল রাওনাফের।  দ্রুত এগিয়ে এল মাটির কাছে।

বারো ঘন্টারও বেশি সময় একরকম অচেতন ভাবেই পার হয়েছে মেঘলার। প্রিয়  মেঘবালিকার এমন অতর্কিত অনুভূতিবিহীন বোধশূন্য অবস্থা দেখে

কেমন অবসন্ন ঠেকেছিল রাওনাফের পুরো দুনিয়াটা। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল পৃথিবীটা ওর জন্য দিনকে দিন বোঝার মতো হয়ে যাচ্ছে। যাকে অহর্নিশি চায় তাকে জড়িয়ে ধরা মানা। এমনকি তুমি আমি নামের এই নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র পথচারী... এটাও বলা বারণ। গলার কাছে কান্নাটা কেমন দলা পাকিয়ে উঠছিল থেকে থেকে। হারিয়ে ফেলার ভয় বুঝি কখনো কখনো জ্ঞানীকেও বোকা বানিয়ে দেয়। রাওনাফ কিছুতেই নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছিলনা।

উল্টোদিকো গহীন কুয়োর গাঢ় অন্ধকার থেকে উঠে আসা মাটির জন্য পুরোটাই একটা কুহেলিকা। ও কেবল মনে করতে পারছে ও রাওনাফের আশেপাশেই কোথাও দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু  কেনো... সেটা ঠিকঠাক মনে পড়ছেনা৷ তবে  আচ্ছন্নতায় মোড়ানো চোখ দুটো পাশের লোকটার ব্যাকুলতা কিছুটা হলেও টের পেল।

তাই ক্ষীন কন্ঠে উত্তর দিল,
না তেমন কিছু না। আমি ঠিক আছি। আপনি ভয় পাবেন না।

কিন্তু তাহলে ওরকম শব্দ করে উঠলে কেনো? রাওনাফের কন্ঠ তখনো মৃদু কাঁপছে।

আসলে মাথার দুপাশের রগ দুটো মনে হচ্ছে যেন টগবগিয়ে ছুটছে, কিছুতেই চোখ খোলা রাখতে পারছিনা।

আচ্ছা আমি কি একটু দেখব?

রাওনাফের ভেতরকার ব্যাকুলতারা যেন  মাটির তৈরি দুর্ভেদ্য চার দেয়ালের পাচিল ছুঁতে চাইছে। মাটি চোখ বন্ধ করে ফেলল। কিছু কিছু মুহূর্ত সচক্ষে দেখতে নেই। লোকটা ওকে পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে মানেই এক ঝলক উত্তপ্ত স্পর্শের আনাগোনা। আর ওই স্পর্শ ওকে আরও আরও লোভী করে তুলবে। ইচ্ছে হবে লোকটা ওকে আরও একটু পরীক্ষা করুক। আরও কাছ থেকে, আরও গভীর ভাবে।

রাওনাফ হাত বাড়াতেই,  তাই দু'হাত দিয়ে নিজের চারদিকে প্রতিরোধের একটা দেয়াল তুলতে চাইল মাটি। কিন্তু রাওনাফ ততক্ষনে দূরত্বের ব্যারিকেডটা ভেঙে ফেলেছে।

আলতো হাতে মাটির কপালের দুপাশের জায়গাটা হালকা করে টিপে দিল সে।  মানুষ খুব অসহায় বোধ করলে বুঝি এমন হয়, প্রচন্ড অস্বস্তির মধ্যেও এক টুকরো শান্তির মেঘ যেন স্পর্শ করল মাটিকে। ভীষন এক নির্ভরতা পেয়ে বসল। প্রবল ইচ্ছে হলো পাশে দাঁড়ানোর মানুষটার হাত দুটোকে গালের সাথে চেপে ধরে। কিন্তু তার পরপরই ধিক্কারের ঝড় উঠল ওর সমস্ত স্বত্তা জুড়ে।

ছিঃ! আজকাল বড়ো কলুসিত হয়ে উঠছে ওর ভেতরটা। থেকে থেকে বুনো নেকড়ের মতোই খেয়ালি আর পাশুটে। মাটির দমবন্ধ লাগল। চোখ ফেটে নোনা জলে টই টুম্বুর হতে চাইল। তারপর ইচ্ছে হলো ফড়িংয়ের মতো দু জোড়া ডানার উপর ভর করে ফুড়ুৎ করে পালিয়ে যায়। কিন্তু মুক্তি যে মিলে না। রাওনাফ তখনো ওর খুব কাছেই ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটা কেনো এতটা এগিয়ে আসছে ওর মতো কুলটা নারীর কাছে। হ্যাঁ, এক অর্থে ওতো কুলটাই। কার স্ত্রী ছিল, আদৈও ছিল কিনা অথচ ভালো পরিবারের বউ হবার স্বপ্ন দেখেছিল। আর এখন আবার... জঘন্য এক দল ইচ্ছেরা পেয়ে বসছে ওকে। এভাবে চরিত্রের আর বকিটাই বা রইল কী? নিজেকে কীট পতঙ্গের চাইতেও ক্ষুদ্র আর অপাংক্তেয় মনে হয় মাটির আজকাল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সময়ের কথা মনে পড়ল মাটির। জ্ঞান হারানোর সময় রাতের খাবার খাচ্ছিল বোধহয় ওরা। অথচ পর্দার ফাঁক গলে  জানলার কাঁচের বাইরে ঘনায়মান অন্ধকার  ইশারা করছে যে এখনো সেই রাতই বহাল । তারমানে এই আধো রাতে লোকটা ওর এত কাছেই রয়েছে পুরোটা সময় জুড়ে। কোনো চিহ্ন নেই তবুও ভয়াল দর্শন ভূত প্রেতের মতো অদ্ভুত অদ্ভুত সব আশঙ্কারা এসে মনের কোনে বাসা বাঁধতে লাগল মাটির। 

স্যার কটা বাজে?

ভিতরকার ভয়টাকে তাড়াবার চেষ্টায় মরিয়া মাটি আর কোনো উপযুক্ত প্রশ্ন খুঁজে পায়না। লোকটাকে এখান থেকে যেতে বলা দরকার। কিন্তু অদ্ভুত উপায়ে ঘরটা আবার এই লোকেরই। কী জ্বালা।

এখন বাজে সন্ধ্যা ছটা প্রায়।

হাত ঘড়িটা উল্টে দেখে জানাল রাওনাফ। ওর ফরসা কপালে ঈষৎ কুঞ্চিত রেখার সমাগম ঘটল। আইহানের বিরূপ আচরন স্বত্তেও মেঘলার হেলথ রিপোর্টগুলো সেদিন আইভি আপার কাছ থেকে নিতে সক্ষম হয়েছিল ও । কিন্তু তারপর নতুন চেম্বার ঠিক করার জন্য দৌড়াদৌড়িতে সেটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। কিন্তু মেঘলার এরকম হুট পাট করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ভাবাচ্ছে ওকে। যত শীঘ্রই সম্ভব ওকে মেঘলাকে সাথে নিয়ে ডাঃ আশরাফের সাথে দেখা করতে হবে।

সন্ধ্যা ছয়টা!

হতবুদ্ধির মতো বিমূঢ় ভঙ্গিমায় অপলক তাকিয়ে রইল মাটি। বলছে কী লোকটা!

কেনো বিশ্বাস হচ্ছে না।

না তা নয়, আসলে এতটা সময় ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমতা আমতা করে নিজের ভুল অনুমানের উপর পর্দা দেয়ার চেষ্টা করল মাটি।

উঁহু!  ঘোর নয় বরঞ্চ ওটা ছিল আপনার মনের মনোপোলি খেলার জটিল জায়গা। এখন বলুনতো এমন লম্বা চওড়া জার্নিতে কার কার সাথে দেখা করে এলেন। নিউটন, আইনস্টাইন নাকি হালের জুকারবার্গ... কার সাথে?

ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইল রাওনাফ। মেঘ এখন মাঝেমাঝেই তার আগের স্মৃতির রাজ্যে ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়টা আদতে কতটা ভালো বা মন্দ সেটা জানা রাওনাফের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই স্মৃতির ভান্ডারে ওর অবস্থানটা। যদি কোনো কারনে মেঘ ওকে সেই ভালোবাসার আদলে না দেখে, বিরূপ আয়োজনে দেখে ফেলে। যদি মেঘের স্মৃতিরা ওর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে রিমঝিমের সাথে ওর কাটানো মুহূর্তেের সাক্ষী হয়। তখনতো বিভ্রান্তির বাদলে ছেয়ে যাবে মেঘের পুরোটা আকাশটা।

ভয়ে রাওনাফের হাত পা কাঁপে। এত কাছে এসে মেঘ আবার ওর কাছ থেকে হারিয়ে গেলে এবার রাওনাফ ঠিক পাগল হবে।

ওদিকে রাওনাফের প্রশ্নে এবার মাটির লজ্জা পাবার পালা। একটু একটু করে অস্পষ্ট কিছু আবছা আলো আধারির ঘটনা মনে পড়ছে ওর। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছেনা এই সব অদ্ভুত শিহরন জাগানো অংশগুলো ওর নোংরা মস্তিষ্কের উর্বর প্রতিক্রিয়া... কিন্তু তারপরও হঠাৎ  রাওনাফ স্যারের মুখটা কেনো ও এত ভালোবেসে দেখছিল ভেবে কূল পেলনা মাটি। ওই মুখটা দুহাত দিয়ে ছোঁয়ার জন্য ওর অন্তর আত্মা যেন নিশপিশ করছিল। আর যখন সেই ছুঁতে চাওয়াটা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না,  তখন ব্যাথায় ভেঙেচুরে যাচ্ছিল হৃদয়। সেই ব্যাথাটা এত জীবন্ত যে মাটির মনে হলো ওর বুকটা এখনো তার ভারে নীলচে  হয়ে আছে।

এখন এসব ইচ্ছেগুলো সত্য হোক আর মিথ্যা, ঘটনাটা আইহানকে ঘিরে হলেও না হয় মানাত। কিন্তু তাই বলে রাওনাফ স্যার! এই    মুহুর্তে গর্তে লুকোনোর মতো জুতসই একটা ইঁদুরের গর্ত হলেও বুঝি মাটি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে হতো।

এরকম লজ্জায় লাল নীল কেনো হচ্ছেন বলুন তো... আমি কিন্তু সত্যি সত্যি ওদের সাথে আপনাকে ট্যুরে পাঠাতে চাচ্ছিনা। বিশেষ করে আপনার মতো সুন্দরী একজনকে তো নয়ই।

গালের টোলদুটো ভেসে উঠল রাওনাফের, আর বিষয়টা মাটির নজর এড়ালো না। 

আসলে অযাচিত স্তুতি কখনো সখনো বিরক্তির কারন হলেও, দুনিয়াজোড়া মেয়ে মানুষ এই একটি বাক্যে এক বিন্দু হলেও টলেই। রাওনাফের কথায়, গাল ছাড়িয়ে এবার কান দুটো লাল হলো মাটির। কিন্তু মনে মনে এটাও ভাবল যে, লোকটা কি  ওকে আদতেই সুন্দরী ভাবে নাকি খোঁচা মারল। এক বাচ্চার মা নিশ্চই কোনো ষোড়শী তন্বীর চাইতে আকর্ষনীয় হবার কথা না।

আাবারো ভাবছেন?

হ্যাঁ ভেবে দেখছি আপনি জীবনে সত্যি কোনো সুন্দরীর মুখোমুখি হয়েছেন কিনা কোনদিন। বিশেষ করে সদ্য তরুনী কোনো রূপসীর।

মুখ ফসকে মনের ভিতরে বকতে থাকা প্রলাপটা এবার বেরিয়েই এল মাটির। আসলে লোকটা সেই অফিসে পা দেয়া থেকে জ্বালাছিল ওকে। আর প্রশ্নটাও তখন থেকেই কুট কুট করে ওকে খাচ্ছিল।

কিন্তু ওর প্রশ্নের উত্তরে এরকম হো হো করে হেসে উঠবে রাওনাফ তা কে জানত। বিরক্তি লাগল মাটির। এভাবে অপদস্ত করার মানে কী?

আশ্চর্য এই কথা শুনে আপনার এমন পাগলের মতো হাসার কী হলো। মাটির কন্ঠে উষ্ণতার আভাস। মনে মনে চটে গেছে ও রাওনাফের উপর। উপহাস করছে নাকি লোকটা?

তাহলে কী করব বলুন, আপনি এমন একটা প্রশ্ন করে বসলেন আমাকে। আরে ভাই জীবনে একটা মানুষের একবারই বেলতলায় যাওয়া ভালো। নয়তো বার বার গেলে চাদি ফেটে যাক আর না যাক ইজ্জতটা  যাবার ভয় কিন্তু থাকেই।

তারমানে ওরকম কেউ সত্যি ছিল আপনার লাইফে! মাটির অবিশ্বাসী মনটায় কৌতুহল  যেন উপচে পড়তে চাইছে। রাওনাফের কথা বিশ্বাস করতে ওর মন সরছে না৷ কেনো যেন মনে হচ্ছে হীরের সন্ধান পাবার পরে কেউ কখনো কাচকে কদর করে তুলে নেয় না। ওর অভিজ্ঞতা বলে একমাত্র অনভিজ্ঞরাই এই ভুল কাজটা করে। আর রাওনাফও তাদের একজনই হবার কথা।

হ্যাঁ আমার মেঘ খুব সুন্দর ছিল। তবে সেটা শুধু বাইরে থেকেই নয়, মনের দিক থেকেও। একদম আপনার কথা মতো  পিচ্চি খুব সুন্দরী একটা বউ।

মুখের উপর পঁচা ডিম ছুড়ল যেন কেউ। ছিঃ! লোকটা এখনো তার স্ত্রীকেই ভেবে চলেছে আর ও কিনা। লালচে গাল দুটো লজ্জায় নাকি অপমানে আরও খানিকটা লাল হলো মাটির। নিজের চিন্তা ভাবনার উপর যথেষ্ট বীতশ্রদ্ধ লাগল। আইহানকে ছেড়ে আসার পর ওর সমস্ত জ্ঞানবুদ্ধি বুঝি লোপ পেয়ে যাচ্ছে।

আপনার ওয়াইফ অনেক লাকি,আপনি তাকে এখনো অনেক ভালোবাসেন। কত বছর হলো আপনাদের বিয়ের? রাওনাফ স্যারের স্ত্রীর প্রতি অজানা এক ঈর্ষাবোধে আক্রান্ত হলো মাটি। কিন্তু সেটা নিজের কাছে স্বীকার করতেও আবার অন্তর্দাহ হলো ওর।

আমার মেয়ের বয়সও আপনার তুলতুলের মতোই হবে, মেঘ যখন হারিয়ে যায় তখন ও প্রেগন্যান্ট ছিল।

ওহ!

এটা মাটির জন্য নতুন। বিস্ময়ের পুরু চাদর ঘিরে ধরল ওকে। সেই সাথে এই প্রথম রাওনাফের জন্য খুবই  আন্তরিক ভাবে দুঃখিত হলো ও। লোকটাকে দেখে ওর কখনো মনে হয়নি, মানুষটার এত কষ্টকর  একটা পাস্ট আছে। বিদেশে থাকে, ছেলে নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছে। আভিজাত্য আর সৌখিনতায় মোড়ান সাজান গোছান এক জীবন। প্রথম প্রথম তো লোকটাকে দেখে রীতিমতো বিরক্তই লেগেছিল ওর। অথচ...  এখন মনে হচ্ছে ওর চেয়েও খারাপ একটা সময় পার করছে মানুষটা। ওর নিজের কোনো অতীত স্মৃতি নেই। সেই সাথে অতীতের কোনো আনন্দও যেমন নেই, দুঃখও নেই। কিন্তু রাওনাফতো তার কিছুই ভোলেনি... নিজের অতীতকে নিয়েই তার এই হাস্যজ্জ্বল বসবাস। লোকটা কতটা কঠিন সময় পার করছে অনুমান করতে যেয়েও আবারো এক দল দামাল মেঘ ছুটে এল মাটির চোখের কার্নিশ জুড়ে। এতটা কষ্ট নিয়ে লোকটা হাসে কী করে!

আপনি তো অনেক শক্ত মনের মানুষ। প্রথম দেখায় আপনি ভেতরে এতটা কষ্ট পুষে রেখেছেন বুঝতেই পারিনি।

কথাটা মাটি বলুক বা মেঘ, ওই দুটো চোখের তারায় ওর জন্য এক টুকরো সত্যিকারের  সহানুভূতির রেশ...  রোদ্রআলোকিত বসন্তের বার্তা নিয়ে এল রাওনাফের জন্য। হীরের উপর আলো পড়লে যেমন ঝকমক করে উঠে রাওনাফের মুখের পেশীগুলোও তেমনি সতেজ আভায় পূর্ন হয়ে উঠল। মনে হলো যেন পাহাড়চূড়া থেকে দূর সমুদ্রের বুকে সদ্য ওঠা এক রংধনু। মাটি দেখব না দেখব না করেও বড়ো বিস্ময় নিয়ে সেই সাতরঙা রঙধনুর সৌন্দর্য অবলোকন করতে উন্মুখ হলো। নিজের বেহায়া মনটাকে কিছুতেই ও  কাবু করতে পারলনা।

চলবে......

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro