১১- মৃত্যুছায়া ( প্রথম পর্ব )
রকিং চেয়ারে বসে দোল খেতে খেতে প্রচণ্ড ঘুম নেমে আসছে আঁখির চোখে।
গত রাতে দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি সে। কেমন যেন একটা অস্থিরতায় কেটেছে পুরো রাত।
কফির মগে চুমুক দিয়ে মুখের কাছে কিছুক্ষণ ধরে রাখে কাপটা। কফির সাথে এর মিষ্টি ঘ্রাণটা এতো ভালো লাগে যে কাপ সহ পুরোটাই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়।
কফি বিন আঁখির বাবার বন্ধু পাঠিয়েছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। নাম 'কপি লুয়াক', এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি এটি। প্রতি কেজি ২ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা। বেশ তিতকুটে খানিকটা ঝাঁঝালো। অবশ্য আঁখির কাছে টেস্ট নয়, গন্ধটাই ভীষণ প্রিয়। সেটা যে কোন কফিই হোক না কেন। কফি হলেই হলো।
কেউ যদি এটা বানানোর প্রক্রিয়া শুনে, তাহলে কফি আর হজম হবেনা। পাল্ম সিভেট নামক প্রকার প্রাণীর পায়খানা থেকে সংগ্রহ করা হয় এর উপাদান। গাছ থেকে কফির বীজ খেয়ে ফেলে পাল্ম সিভেট, কিন্তু হজম করতে পারে শুধু খোসাটা, ভিতরের উপাদান অক্ষত থাকে। এই হলো কাণ্ড।
তবে ঝাঁঝালো কফির কথা বললে- বলতেই হয়, 'ডেথ উইশ কফি বিন' এর কথা। একবারই খেয়েছিল সে। এমন জঘন্য জিনিস আগে কোনদিন খায়নি আঁখি। মানুষ কিভাবে খায় তা তার কিছুতেই মাথায় আসেনা। এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ নরমালের থেকেও ২০০% বেশি। এক নাগাড়ে ৩/৪ সপ্তাহ খেলে যে কেউ মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যেতে পারে। তাই এরকম নাম।
তার সব বন্ধুরা শুনে একবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আঁখি ভেবেই পায়না কি ভাবে মানুষ এতোটা আবাল হয়, অখাদ্য জানার পরেও খেতে কিভাবে ইচ্ছা করে! অবশ্য অ্যামাজন থেকে সত্যিই অর্ডার দিয়ে রেখেছে। এসে পৌঁছুলে নিজের হাতে বানিয়ে খাওয়াবে সবাইকে।
বসে থাকতে থাকতে আরো দু' বার হাই তুললো আঁখি। এ পর্যন্ত চার কাপ কফি বানিয়ে খেয়েছে সে নিজে। কিন্তু তাতে ঘুম কমছেনা বরং চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। ভর দুপুরে ঘুমোবার অভ্যাস নেই বলেই বিছানায় যেতে পারছেনা।
তবু ঘুমের কাছে হার মেনে রকিং চেয়ারেই শেষ পর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়লো আঁখি। খুকিদের মত ডানদিকে মাথা কাঁত করে ভীষণ আরামে ঘুমাচ্ছে। একটি হাত কোলের উপর আর আরেকটি চেয়ারের কালো রঙের ধাতব হাতলে।
ঘুমিয়ে যাওয়া মাত্রই আঁখির চোখের পাতা নড়তে লাগলো খুব দ্রুত। RAM, রেপিড আই মুভমেন্ট। আঁখি একটা জার্নালে পড়েছে, যাদের আই-কিউ যত বেশি, তারা তত বেশি স্বপ্ন দেখে।
আঁখি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে মাইলের পর মাইল বিস্তৃত কোন সমুদ্রের তীরে, যার দিকে তাকালেই মনে হয় এটি বুঝি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত ছাড়িয়ে চলে গেছে বহুদূর। কখনো হাঁটছে, কখনো বা থেমে সাগরের বালু বেলার উপর নগ্ন দুটি পা ডুবিয়ে রাখছে বালির আস্তরণের নীচে।
ইচ্ছা হয় দুবাহু প্রশস্ত করে, চোখ বন্ধ করে সমুদ্রের কাছে ভালোলাগাময় যা আছে তার সবটুকু লুফে নেয় তার বুকের মাঝে।
চোখ বুঝে সমুদ্রের প্রতিটা তরঙ্গ ধ্বনির শব্দ আলাদা আলাদা করে শুনতে পাচ্ছে আঁখি। কত সুর আর কত সংগীতের উৎপত্তি এই মহাসমুদ্র?
ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা শিরশির করা হাওয়ায় গা কাঁপুনি দিয়ে উঠছে মাঝে মাঝে। কোথা থেকে জানি এক ঝড়ো হাওয়ার মত দমকা বাতাস ছুটে আসছে তার দিকে। সে ঝড়ো হাওয়া হৃদয় তোলপাড় করে দিচ্ছে তার।
সেই সাথে কি মিষ্টি জোছনার ঘ্রাণ। আঁখির মতে চাঁদের নরম আলোরও এক প্রকারের গন্ধ আছে।
কানের মধ্যে বাতাসের প্রচণ্ড শব্দে তার ঘুণে ধরা হৃদয়ের অন্দরমহলে অর্থহীন কিছু শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বারবার। তার অন্তর্নিহিত হৃদয় স্বাচ্ছন্দ্যে তার সকল স্পন্দন দিয়ে সে অর্থহীন শব্দগুলোর প্রতিত্তুর করে চলেছে অনবরত।
কে বলেছে সবকিছুর অর্থ থাকতে হবে? কে বলেছে সবকিছুর কারণ থাকতে হবে? মানুষ মুগ্ধতা ধরে রাখতে চায়না। আঁখি চায়। সে চায় জগতের সব রহস্য তাকে মুগ্ধ করে যাক যুগযুগান্তর ধরে, আমরণকাল ধরে।
আঁখি পৃথিবীর কাছে কখনোও কোনকিছুর ব্যাখ্যা জানতে চায়নি। চেয়েছে শুধু এক বিন্দু ভালোবাসা। বেশি তো নয়, মাত্র এক বিন্দু নির্ভেজাল, নিঃস্বার্থ, নিখুঁত, অনাবিল ভালোবাসা।
কিন্তু পৃথিবী যদি মানুষের সব ইচ্ছা পূরণের ক্ষেত্র হতো তাহলে স্বর্গ নরক তো আর সৃষ্টি হতোনা।
আঁখি সাগরের দিকে দু'পা করে আরো খানিকটা এগিয়ে যায়। সাগরের পানিতে হাঁটু গেড়ে বসে এক আঁজলা পানি তুলে নিয়ে আলতো করে তার গালে ঠেকায়।
ধীরে ধীরে ঢেলে দেয় সে পানি তার সর্বাঙ্গে। তার চোখ, চোখের পাপড়ি, চিবুক হয়ে, ঠোঁট হয়ে সে পানি গড়াতে থাকে তার বুকের ভিতর।
সমুদ্রের হিম শীতল পানিতে ধুয়ে যাক জীবনের সব না পাওয়ার যন্ত্রণাগুলি। কিছুটা জল জমা থাক তার হৃদয়ের গভীরতর কুঠরিতে। সখ্যতা হোক সে জল ও তার খানিক দুঃখ- বেদনার সাথে। কিছুটা কষ্ট ছাড়া মানুষ বাঁচবে কি নিয়ে এ পৃথিবীতে?
" আঁখি? "
খানিকটা কাতর গলায় কে যেন ডেকে উঠে পাশ থেকে।
চমকে উঠে পিছনে ফিরে তাকায় আঁখি। দূরে বালির উপর কেউ একজন শুয়ে আছে। আঁখি দৌড়ে এগিয়ে যায় সেদিকে।
কাছে এসে প্রায় আর্তনাদ করে উঠলো সে।
" আবীর??? কি হয়েছে আবীর? কি হয়েছে তোমার!!! "
আবীরের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত। এখনো চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে সে ক্ষতগুলি থেকে।
আবীর উঠে বসার চেষ্টা করে, কিন্তু এক বিন্দু শক্তি নেই সে অর্ধমৃত শরীরে। আঁখি ধরে উঠে বসতে সাহায্য করতে চাইলো, কিন্তু আবীর ঠিকমত বসতে না পেরে একপাশে কাঁত হয়ে ককিয়ে উঠলো প্রচণ্ড ব্যথায়। আঁখির চোখে রাজ্যের অবিশ্বাস আর এক অবর্ণনীয় আতংক।
" আমি ঠিকই আছি, তেমন কিছু হয়নি আঁখি। একটু ব্যথা পেয়েছি মাত্র " সামান্য হাসার চেষ্টা করলো আবীর, আঁখির ভয় কমাতে।
আঁখি প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় সাথে সাথে বললো,
" তোমার এমন অবস্থা কিভাবে হল, বলো আমাকে! "
আবীর খুব কষ্টে দাঁতে দাঁত ঘষে ব্যথা সহ্য করে বললো
" দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তুমি চলে এসেছ, আর কোন ভয় নেই আঁখি।" চারিদিকে একটু চোখ বুলিয়ে আবার আঁখির দিকে তাকালো।
আঁখি আবীরের কথাতে আশ্বাস পায়না। রক্তে সব ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে, মানুষের শরীরে এতো রক্ত থাকে তার জানা ছিলোনা।
রক্তের দিকে তাকালেই তার কাছে মনে হয়, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে.... আবীর হারিয়ে যাচ্ছে এ জগত থেকে।
হঠাৎ কোমরের কাছে চোখ পড়তেই আঁখির মেরুদণ্ড দিয়ে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেলো। এক মিনিটের জন্য তার হৃদপিণ্ড পর্যন্ত স্পন্দন করতে ভুলে গিয়েছিল। আবীরের কোমরের একপাশের বিরাট একটা অংশ ফাঁপা, কেউ যেন কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। সেদিক দিয়ে ছেঁড়া মাংসের ভিতর দিয়ে কয়েকটা হাড় বেড়িয়ে গেছে। রক্তে চৌচির হয়ে গেছে সে পাশের মাটি। সে যে কি ভয়ানক বীভৎস দৃশ্য তা আঁখি কারো কাছে বলতে পারবেনা কোনদিন।
আঁখি যেন শ্বাস নিতে পারছেনা, অ্যাজমার রুগীদের মত ছটফট করতে লাগলো.... আবীর চারপাশে অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছে। বহুযুগ পর যেন কেঁপে কেঁপে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো আঁখি। তার দুটো ঠোঁট প্রশস্ত হয়ে আছে, কিন্তু মুখে কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারেনা।
যদিও আবীর বারবার বলছে আর ভয় নেই, এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আঁখি ভরসা করতে পারেনা, সে আসাতে সব- কি ঠিক হয়ে যাবে? কিভাবে ঠিক হয়ে যাবে? তারা যে নির্জন সাগরের বালু বেলায় পড়ে আছে সেখানে সে আবীরকে কিভাবে ভালো করে তুলতে পারবে?
হঠাৎ আবীরের মুখের মৃদু হাসিটাও উবে গেলো।
মুখ আরো ফ্যাঁকাসে হয়ে যেতে লাগলো।
চারিদিকে এলোমেলোভাবে তাকাচ্ছে সে, কিছু দেখছে বলে মনে হয়না। তার চোখ জুড়ে ভয়ানক আতংকে ছেয়ে যাচ্ছে।
সব কিছু যেন আবছা হয়ে আসতে লাগলো। সব কিছু কেমন লালচে লাগছে তার কাছে। রক্তের মত লাল। সেই লালচে ভাব আস্তে আস্তে কমে আসছে। তার দৃষ্টির সবগুলি আলো নিভে আসছে একটু একটু করে।
আঁখির গলার স্বর যেন বহুদূর থেকে আসছে। প্রতিটা অক্ষর এতো ধীরে ধীরে বলছে কেন? একটি পুরো শব্দ উচ্চারিত হতে যেন শতাব্দী পেরিয়ে যাচ্ছে। সে শব্দ শুনেও কিছু বুঝতে পারছেনা। তার কি চেতনা শক্তি লোপ পাচ্ছে?
তার পুরো মুখ ধীরে ধীরে নীল হয়ে আসছে। যেন ধীরে ধীরে প্রাণশূন্য হয়ে যাচ্ছে সারা শরীর। আবীর তাকিয়ে আছে আঁখির দিকে। কিন্তু আঁখিকে আর দেখতে পাচ্ছেনা। সব অন্ধকার হয়ে আসছে।
আবীর শুধু তার দিকে প্রচণ্ড বেগে ধাবমান মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছে চোখের সামনে। কিছু দূরে ছায়ার মতন অদ্ভুত কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
অর্ধেক প্রাণী আর অর্ধেক মানুষের মত কিছু একটা এগিয়ে আসছে তাদের দিকে - খুব বড় একটা লাঠির মতন গজাল মাটিতে গেঁথে গেঁথে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে।
মৃত্যু কি তাহলে এসে গেছে? এ কি তাহলে যমদূত? বাম হাতে কালো রঙের অদ্ভুত কিছু একটা ধরে এগুচ্ছে। বিশাল সাপের মত দেখতে যার মাথায় কোটি কোটি ফলা আর অজস্র তীক্ষ্ণ ছুরির মত বাঁকানো এক ভয়ংকর জীবন্ত বস্তু। খুব সরু কিন্তু বিশাল। চ্যাটচ্যাটে আর কিলবিলে ক্ষুরের মত সূচালো অগ্রভাগ নিয়ে প্রায় সাড়ে সাত ফুট লম্বা এক ভয়ানক জান্তব বস্তু হাতে এগিয়ে আসছে সে যমদূত।
যেন এটা শরীরের কোথাও ফুঁড়ে দিয়ে দেহের ভিতরে ঢুকিয়ে শরীরের প্রতিটা কোষ থেকে থেকে আবীরের আত্মাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে টেনে বের করে আনবে। তীক্ষ্ণ বড়শির বাঁকানো অসংখ্য ফলা পুরো শরীরকে অক্ষত রেখে ভিতরের সব চিঁড়ে ফেঁড়ে ফেলবে চোখের নিমিষেই।
প্রচণ্ড যন্ত্রণায় গলা কাটা মুরগির মত ছটফট করতে করতে মারা যাবে আবীর। কিন্তু মৃত্যুদূত তার বুকের উপর চেপে বসে থাকায় কেউ কিছু জানতে পারবেনা, কেউ কিছু বুঝতে পারবেনা। তাদের বলার জন্যেও আর কেউ থাকবেনা।
আবীর ভয়ে গোঙাতে থাকে। ছুটে পালিয়ে যেতে চায় কোথাও।
কিন্তু উঠে দাঁড়াতে পারেনা আবীর। নিজের পা গুলিকে আর অনুভব করতে পারেনা। তার যেন কোন পা নেই।
তার হাতের উপর ভর দিয়ে হামাগুড়ি দেয়ার চেষ্টা করে,
কিন্তু তার হাতগুলিকেও অনুভব করতে পারেনা কিছুতেই। তার যেন হাত নেই।
চারপাশের সব প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আঁখিকে আবছা আবছা ভাবে দেখা যাচ্ছে। সে হাত নেড়ে নেড়ে যেন গলা ফাটিয়ে কিছু বলছে। কিন্তু সে কথা আর শোনা যায়না কিছুতে।
আঁখির কোলের উপর মাথা রেখা আবীর ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে অন্য কোন এক জগতের সন্ধানে।
আঁখি দূরে তাকিয়ে আছে। বাতাসে তার চুল উড়ছে। বহমান বাতাসের অর্থহীন শব্দ তার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছেনা। শত কোটি সুর- সংগীতের রচনাকারী মহা সমুদ্র তার অর্কেস্ট্রার আলোড়নে আঁখির মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছেনা।
যে হৃদয় দিয়ে সে অনুভব করবে সে হৃদয় যে ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। কিভাবে এসব হয়ে গেলো? কি করে তার বুকটা এক নিমিষেই খালি হয়ে গেলো? চাঁদের আলো ধীরে ধীরে অস্বচ্ছ হয়ে আসছে।
দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো আঁখির গাল বেয়ে।
আঁখি চোখ বন্ধ করে রইলো, চাঁদের আলোতে তার সাদা মুখটা ছাড়া আর কিছু উজ্জ্বলিত হতে দেখা গেলনা, অথচ আঁখির ভিতরটাই এই সারা পৃথিবীর চেয়ে বেশি অন্ধকারে ডুবে ছিল।
....................... ........ ................................
আঁখি যখন আবীরের পাশে বসে মৃত্যুর ক্ষণ গুনছে..
তখন আবীর ছোট্ট এক কুটির ঘরে বসে পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয়, নিষিদ্ধ, আর অলৌকিক বিজ্ঞানের বইটি পড়ছে।
আঁখি জানতোনা , আবীরের মৃত্যু নেই। মৃত্যু আসার অনেক আগেই আবীরের অন্য কোথাও জন্ম হয়ে গিয়েছে।
প্রতিটি মুহূর্তে অসংখ্যবার মৃত্যুকে ধোঁকা দিয়ে সে প্রকৃতির বুকে এক অঘোষিত যোদ্ধার বেশে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। যে যুদ্ধের কথা পৃথিবীর কোন ইতিহাসের বই-এ লেখা থাকবেনা।
আবীরের মৃত্যু যখন প্রকৃতি কিংবা কোন অদৃশ্য শক্তির কাম্য, তখন আবীর মৃত্যুর ফাঁদ পেতে সেই অদৃশ্য শক্তিকেও ধোঁকা দিয়ে ফেলেছে।
যা আঁখি জানতোনা, আর কোনদিন জানতেও পারবেনা যে এ যুদ্ধে আঁখির জন্যে আবীরকে কত সহস্রবার মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছাতে হয়েছে।
পিছনে সেই মৃত্যু দূতের মত ছায়াটাকে আর দেখা যাচ্ছেনা। সেটা অনেক আগেই চলে গেছে।
তার জীবনে এর থেকে বড় ট্রল আর কখনো হয়নি।
_____||________||_______||_______||____
Go to>>>> Next part
:D
please vote and comment
every chapter
IF IT IS
POSSIBLE :)
<3
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro