ইমরোজ আরো জানার কথা
#ইমরোজ_আর_ওজনের_কথা
ইমরোজের তখন সদ্য বিয়ে হয়েছে। বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি এসে সবথেকে বেশি যে কথাটা শুনছে তা হলো, “ইশ কি শুকনা! ইশ কি হাড্ডি! চাপাও তো বসা! এত বাশপাতা শরীর।”
সবসময় কথা শুনানো। চিকন, চিকন, চিকন!
ইমরোজ শেষমেষ ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো,
---আমি মোটা হতে চাই ডক্টর। প্লিজ হেল্প…
ডাক্তার পরামর্শ দিলো,
---বিশ মিনিট পরপর পানি খাবেন। ত্রিশ মিনিট পরপর হালকা খাবার। ভাত, দুধ… ডিম, মাংস, মাছ, ছোলা, পনির, ঘি, মাখন, মিষ্টি, ফল, দই সব খাবেন। খাওয়া দাওয়াতে বাছবিচার করবেন না।
তিনমাস পর এসে দেখাবেন।
ইমরোজ ডাক্তারের কথামতো সবকিছুই মন দিয়ে খেলো। তিনমাস পর ডাক্তার ওজন নিয়ে দেখলেন, আরো দু'কেজি ওজন কমে গেছে।
ডাক্তার ইমরোজকে খুব অবিশ্বাস করলেন। বললেন,
---আপনি ডায়েট চার্ট মানেন নি। হয়নি, আবার ফলো করুন।
ইমরোজ আবার মন দিয়ে সব করলো। কিন্তু তাও ওজন বাড়লো না। মোটা সে কিছুতেই হতে পারলো না। সময় গড়ালো।
একসময় ইমরোজের সন্তান এলো। সন্তান হবার পর থেকে ইমরোজ হু হু করে মোটা হতে শুরু করলো। অবস্থা এমন শ্বাস ফেললেই সে মোটা হচ্ছে।
সবাই বলতে শুরু করলো, “মোটকা, মটু। এঁই আবার কি এক্সপেক্ট করছিস? ওমা! এত থলথল করছে। আহা, কত ওজন বলতো? সত্তর নাকি আটাত্তর?
ইমরোজ নিরুপায় হয়ে আবার ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার ইমরোজকে এডভাইস দিলো, “ভাত, দুধ, ডিম, মাংস, মাছ, ছোলা, পনির, ঘি, মাখন, মিষ্টি, ফল, দই সব বাদ। জাঙ্ক ফুড... তা তো হারাম”।
ইমরোজ ডাক্তারের কথা নিয়ম করে শুনলো। সব খাওয়া ছেড়ে দিলো। রুটি আর পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচির ভর্তা খেলো।
তিনমাস পর ডাক্তারকে দেখালো। ডাক্তার বললেন,
---সর্বনাশ! আরো ছয় কেজি বেড়ে গেছে। আপনি ডায়েট চার্ট ফলো করেননি। সব খেয়েছেন, আমি জানি।
ডাক্তার এবারও ইমরোজকে অবিশ্বাস করলেন।
ইমরোজ কি করে বুঝাবে? সে আসলে সবসময় সত্যি কথাটাই বলে। এই যে, এখন সে খাবারের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও ওজন বাড়ছে... এটা কে বিশ্বাস করবে?
কেউ না! কেউ না!
#তৃধা_আনিকা
Bạn đang đọc truyện trên: Truyen247.Pro